ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৯
পর্যটনে দক্ষ কর্মী জোগাতে রাজ্য উত্তরবঙ্গে ইনস্টিটিউট গড়তে চায়

আতিথেয়তা ব্যবসা বা হসপিটালিটি সেক্টরে বিশেষ গুরুত্ব দিতে তৈরী রাজ্য সরকার। তার জন্য প্রয়োজন দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী। তেমন কর্মীর সংখ্যা বাড়াতে রাজ্য সরকার আরও একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে আগ্রহী। কলকাতায় আইসিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে গাজলডোবায় ‘ভোরের আলো’ প্রকল্পটিতেই একটি ইনস্টিটিউট গড়তে চান তাঁরা। সেখানে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মী গড়ে তোলায় জোর দেওয়া হবে। পর্যটনের উন্নয়নে পরিকাঠামো তৈরীতে সর্বস্তরে জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বিমানবন্দর। যাত্রী বৃদ্ধির হারে বাগডোগরা এখন দেশের মধ্যে সবার আগে আছে। রাজ্য সরকার এখানে বিমানবন্দর বাড়ানোর জন্য ইতিমধ্যেই ২৬ একর জমি দিয়েছে। আরও ১১০ একর জমি দেওয়ার তোড়জোড় চলছে। বালুরঘাট, কোচবিহার এবং বার্নপুরে বিমানবন্দর তৈরীর তোড়জোড় চলছে।
বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র মিলিয়ে রাজ্য সরকারের হাতে এখন ৪৩টি প্রকল্প আছে। সংখ্যাটিকে ১০০তে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। ওই কাজে ইতিমধ্যেই হাত দেওয়া হয়েছে বলে এদিন মন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে নতুন রিসর্ট তৈরীর বিষয়ে যেমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তেমনই নতুন পর্যটনকেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে। ইতিমধ্যেই গাজলডোবার পাশাপাশি সুন্দরবন এবং হুগলীতে আরও দু’টি পর্যটনকেন্দ্র গড়া হচ্ছে। যেখানে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি উদ্যোগও যোগ দিয়েছে।
ওই অনুষ্ঠানে পর্যটন সচিব বলেন, উৎপাদন শিল্পে কর্মসংস্থানের জন্য বড় বিনিয়োগের প্রশ্নটি জড়িয়ে থাকে। পর্যটন শিল্পে অপেক্ষাকৃত কম বিনিয়োগে অনেক বেশী মানুষকে কাজ দেওয়া যায়। গোটা বিশ্ব যেখানে পর্যটনে নতুন মাত্রা আনতে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গে দুর্গাপুজো সেই পরিসর আগেই তৈরী করে দিয়েছে। সরকার যেভাবে বাঙালীর এই উৎসবকে সামনে আনছে ও প্রচার করছে, তার সুফল ইতিমধ্যেই হোটেল ব্যবসা পেতে শুরু করেছে। রাজ্যের পর্যটনে জোর দিতে রাজ্য সরকার ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে জোর দিচ্ছে। সাম্প্রতিককালে যে অ্যাপ তারা এনেছে, সেখানে সাধারণ মানুষ পর্যটন সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ও বাস্তব ধারণা পাবেন।
সৌজন্যেঃ বর্তমান
ফাইল ফটো