অগাস্ট ২০, ২০১৮
পরিবর্তনের আমলে পুনরুজ্জীবিত বাংলার মৃতপ্রায় বস্ত্র ও হস্তশিল্প

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিচালিত রাজ্য সরকারের উদ্যোগের ফলে গত সাত বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের মৃতপ্রায় বস্ত্র ও হস্তশিল্প।
শিল্পীদের পরিচয়পত্র প্রদান থেকে শুরু করে উন্নত সরঞ্জাম বিতরণ বা কারিগরদের প্রশিক্ষণ – রাজ্য সরকার এই শিল্পের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সবরকম সাহায্য করেছে।
বিভিন্ন মেলা, প্রদর্শনী, এবং বিশ্ব বাংলা ব্রান্ড তৈরীর ফলে বাংলার হস্তশিল্প এখন বিশ্ববন্দিত।
বস্ত্রশিল্পের প্রসার
২০১৭ সাল পর্যন্ত ৫,৩১,০৭৫জন তাঁতশিল্পীকে পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। ২০১১ সাল পর্যন্ত এই সংখ্যাটি ছিল শুন্য।
তাঁতশিল্পীদের ৬৬,৫০০ ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হয়েছে।
৯৫,০০০ তাঁতশিল্পীকে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
যে সকল তাঁতশিল্পীর তাঁতযন্ত্র ছিল না, তাদের ৭৫,৮৮৯টি তাঁতযন্ত্র প্রদান করা হয়েছে।
৪৪ লক্ষ ধরণের কম খরচের তাঁতের শাড়ি তৈরী করা হয়েছে।
২০১১-১২ ও ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের মধ্যে ৫৩৩ লক্ষ কর্মদিবস সৃষ্টি হয়েছে যা ২০১০-১১ সাল পর্যন্ত ছিল ৩৩.১৮ লক্ষ। কর্মদিবস সৃষ্টিতে ১৬ গুন বৃদ্ধি।
১ লক্ষ তাঁতশিল্পীকে তাঁতের হাটের মাধ্যমে বিপণনে সাহায্য করা হয়েছে।
তাঁত ক্লাস্টারহুলির মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও ভালো করার জন্য ২৪.১৫ কিলোমিটার লিঙ্ক-রোড তৈরী করা হয়েছে।
৩৫০০ বয়নশিল্পীকে নিয়ে মেগা কার্পেট ক্লাস্টার তৈরী করা হয়েছে।
২৫০০ তাঁতশিল্পীকে নিয়ে ‘প্রজেক্ট বালুচরি’ প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
বহু দশক ধরে ক্ষতিতে চলার পর ২০১৪-১৫ সাল থেকে লাভের মুখ দেখে তন্তুজ। ২০১৭-১৮ সালে তন্তুজ ২০৪.৯ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে।
হস্তশিল্পের পুনরুজ্জীবন
২০১১-১২ থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষের মধ্যে ৫,৩১,৭৭২জন শিল্পীকে পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়েছে। ২০০৬-০৭ থেকে ২০১০-১১ অর্থবর্ষের মধ্যে পরিচয়পত্র প্রদানের সংখ্যা ছিল মাত্র ৩৭,২১৩।
হস্তশিল্পীদের ১২০০০ টি ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা হয়েছে।
১০টি গ্রামীণ হস্তশিল্পের হাব খোলা হয়েছে, যার ফলে ২৫০০০ শিল্পী উপকৃত হচ্ছেন। এই প্রকল্পের ফলে ৩ বছরে ৮০০০০ পর্যটক এসেছেন এই হাবগুলিতে।
হস্তশিল্পীদের জন্য তিন বছরে ২৭টি বিপণন কেন্দ্র তৈরী করা হয়েছে। মেলা ও প্রদর্শনীর ফলে ৯২৪কোটি টাকার বাণিজ্য করেছেন তারা।
তিন দশক ধরে ক্ষতিতে চলার পর ২০১৫-১৬ সাল থেকে মঞ্জুষা লাভের মুখ দেখে। ২০১৭-১৮ সালে ৯১ কোটি টাকার ব্যবসা করে এই সংস্থা।
রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে মোট আটটি বিশ্ববাংলা বিপণন কেন্দ্র চলছে। এই কেন্দ্রগুলিতে ২০১৭ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।