জুলাই ১৯, ২০১৯
সংসদে প্রতিবাদ থেকে সাংসদদের দল পাঠানো – উত্তরপ্রদেশের খুন হওয়া আদিবাসীদের পাশে তৃণমূল

গত বুধবার উত্তরপ্রদেশের সুনভদ্রের উভা গ্রামে এক ধনি ব্যাক্তি ভাড়াটে গুণ্ডার মাধ্যমে ১০জন নিরীহ আদিবাসী কৃষককে নারকীয়ভাবে হত্যা করে। এই ঘটনা খুবই মর্মান্তিক এবং এর মাধ্যমে বিজেপি শাসিত রাজ্যের কঙ্কালসার আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। মৃতদের মধ্যে তিনজন মহিলা। এছাড়া আরও ২১ জন চরমভাবে আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
একটি প্রাইভেট মেম্বার্স বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন এই কালো অধ্যায় আজ রাজ্যসভায় তুলে ধরেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। তিনি সংবিধানের ২১ নম্বর ধারার উল্লেখ করেন যেখানে সংবিধান তপশিলি জাতি ও উপজাতির ব্যাক্তি স্বাধীনতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে এবং আজকের দিনেও এই ঘটনা ঘটায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি আর্জি করেন গৃহমন্ত্রী এবিষয়ে রাজ্যসভায় বিবৃতি দিন এবং জানান এই ঘটনায় তপশিলি জাতি ও উপজাতির জন্য গঠিত জাতীয় কমিশন, উত্তর প্রদেশ সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার কি ব্যবস্থা নিয়েছে। কেন কোনও উপদেষ্টা এই বিষয়ে পাঠানো হয়নি, তাও তিনি জানতে চান।
আজ এই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির সন্নিকটে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস সদস্যেরা ধর্না দেন। বিভিন্ন ব্যানার ও পোস্টার দেখানো হয়, “বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশে দলিতদের ওপর এই আক্রমণকে ধিক্কার জানাই। বিজেপি সবসময় দলিত-বিরোধী, গরীব-বিরোধী।” তাঁরা দোষীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবী করেন। তাঁরা এও দাবী করেন উত্তরপ্রদেশ সরকার এই ধরনের গরীব ও দলিতদের হত্যাকান্ড আটকাতে যথাযথ ব্যবস্থা নিক। মন্ত্রী শশী পাঁজা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুশ্চিন্তার কথা তুলে ধরে বলেন, বিজেপি শাসিত সরকার সমাজের প্রান্তিকদের ওপর অত্যাচার করে।
এই মর্মান্তিক ঘটনাকে তলিয়ে দেখতে ও নিহতদের পরিজনদের ও আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে এক চার সদস্যের তৃণমূল প্রতিনিধি দল কাল উভা গ্রামে যাচ্ছেন। এই দলের নেতৃত্বে আছেন রাজ্যসভায় দলীয় নেতা ও সর্বভারতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন। বাকি তিনজন হলেন, সাংসদ সুনীল মণ্ডল, সাংসদ আবীর রঞ্জন বিশ্বাস এবং সাংসদ ঊমা সোরেন।