ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৯
পার্ক সার্কাসে অনুষ্ঠিত হবে মিলন উৎসব

রাজ্যের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের চিরাচরিত খাবারগুলি নিয়ে ১লা থেকে ৪ঠা ফেব্রুয়ারি পার্ক সার্কাস ময়দানে বসবে মিলন উৎসব। হরেক খানা চেখে দেওয়ার সঙ্গেই পড়শিকেও চেনার সুযোগ মিলবে। এই উৎসব চলবে প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত।
খাদ্যাভ্যাসে ফারাক থাকলেও প্রায় প্রতিটি সম্প্রদায়ের কাছেই কিছু খাবার খুব জনপ্রিয়। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বৈচিত্রপূর্ণ খাদ্য সম্ভার, বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলিই মেলায় তুলে ধরা হবে। ‘দস্তরখান’ নামে প্যাভিলিয়নে বসবে খাবারের আসর।
মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্তদের খাবারে মোগল ঘরানার প্রভাব সবিশেষ। বিভিন্ন ধরনের বিরিয়ানি, কাবাব, রেজালা, চাপ তো বটেই বাকরখানি, নেহারি, পায়াও মিলবে। বিফ মোমো, নানখাটাই, জার্মান ব্রেড, কাঞ্জির মতো খাবারও থাকবে। কলকাতার মানুষ হালিমের সঙ্গে পরিচিত হলেও কাঞ্জির খবর বিশেষ রাখেন না। হালিমেরই মতো। তবে কাঞ্জিতে মাংস আরও মিহি।
খৃস্টান পরিবারগুলিতে বিশেষ পছন্দের খাবার কিন্তু ভিন্ডালু। বিফ, পর্ক, মাটন বা চিকেন–যে কোনও কিছু দিয়েই বানানো যায় ভিন্ডালু। খৃস্টান পরিবারে চল রয়েছে ব্রেড পুডিংস, রোজ কুকি, ক্যারামেল কাস্টার্ডেরও। বিভিন্ন ধরনের রোস্ট, কোপ্তাকারি, চালের হালুয়া, আটার হালুয়াও জনপ্রিয়।
এ শহরে থাকতে থাকতে এখন বাঙালি খাবারেই অভ্যস্ত শিখ পরিবারগুলি। তবে তাদের পছন্দের খাবার বলতে প্রথমেই আসে মকাই কা রোটি আর সর্ষো কা শাক। আলু, মুলো, ফুলকপির পরোটারও চল খুব। তবে রুটিই হোক বা পরোটা, হলুদ মাখনের বদলে সাদা মাখনেরই চল শিখ পরিবারগুলিতে। সুজি ছাড়াও গাজর, মুগডালের হালুয়াও খুব পছন্দের।
পার্সি সম্প্রদায়ের মশালার গুণেই ধানশক কিংবা ফিস পাটিয়া স্বতন্ত্র। ডার-নি-পরি কিংবা লগন-নু-কাস্টার্ডও পার্সিদের খুব প্রিয়।
কলকাতাবাসী ঢোকলার সঙ্গে বিশেষ পরিচিত। যদিও খান্ডুই, উনজিউ কিংবা থেপলার মতো খাবার সম্পর্কে ততটা ওয়াকিবহাল নন। এই খাবারগুলিই কিন্তু শহরের জৈন পরিবারগুলির সবচেয়ে পছন্দের।
বৌদ্ধ পরিবারগুলি স্থানীয় খাবারেই অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। তবে সম্প্রদায়ের প্রতীকী খাবার হিসেবে তিব্বতের মোমো-সহ বেশ কিছু আইটেম থাকবে।
মেলার অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে মহা জব মেলা, কেরিয়ার কাউন্সিলিং, চাকরি সংক্রান্ত কাউন্সিলিং। এছাড়া, সকলের জন্য থাকছে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির।
সৌজন্যেঃ এই সময়