অগাস্ট ৩০, ২০১৮
মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে ঠাকুরনগরে গড়ে উঠতে চলেছে ফুল মান্ডি

একদিকে ফুলচাষ, অন্যদিকে ফুলের বড় বাজার। দুর্বাঘাস, বেলপাতা,আমপল্লব থেকে দোপাটি,গাঁদা। রজনীগন্ধা, গোলাপ, গ্ল্যাডিওলা সহ হরেক ফুলের সম্ভার। গাইঘাটার ঠাকুরনগরের ফুল মার্কেট বহু পুরানো। ফুল চাষ ও ফুল ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত কয়েকশো মানুষ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই ঠাকুরনগরে এবার তৈরী হতে চলেছে ‘ফুল মান্ডি’। এখানে খুচরো ও পাইকারি বিক্রয় কেন্দ্র যেমন থাকবে,তেমনই ফুল সংরক্ষণেরও আধুনিক ব্যাবস্থা থাকবে। ফুল নষ্ট হওয়ার হাত বাঁচাবেন চাষি ও ব্যাবসায়ীরা।
ঠাকুরনগর স্টেশনে নামলেই দেখা যায় ফুলের বড় বাজার। এটি ফুল মার্কেট বলেই পরিচিত। এখানে পাইকারি ও খুচরো, দুধরনের ফুলই বিক্রি হয়। ঠাকুরনগরের বড় অংশের মানুষ ফুল চাষ ও ফুল ব্যাবসার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু ফুল খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। ফুল ব্যবসায় এটাই বড় সমস্যা। বেশি উৎপাদন হলে কিংবা ফুল বিক্রি না হলে উদ্বৃত্ত ফুল নষ্ট হয়ে যায়। সেগুলি ফেলে দিতে হয়। তাই ফুল সংরক্ষানের ব্যাবস্থা থাকা খুবই প্রয়োজন।
ফুল মান্ডি তৈরি হলে একই ছাদের তলায় সব ব্যবসায়ীকেই পাওয়া যাবে। জমি নির্বাচনের কাজ হয়ে গিয়েছে।এখন প্রশাসনিক প্রস্তুতি চলছে। ঠাকুরনগরের স্টেশনের পাশেই পূর্ত দপ্তরের সরকারি জমিতে এই ফুল মান্ডি করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই মান্ডি পরিচালনা করার জন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
ঠাকুরনগরের ফুল মার্কেট নিয়ে বাম সরকার কোনদিন চিন্তা করেনি। এই প্রথম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এখানকার ফুল চাষি ও ফুল ব্যাবসায়ীদের কথা চিন্তা করে এই অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন। এখানে ফুল সংরক্ষন করা হবে এবং বিক্রয় কেন্দ্রও থাকবে। দ্রুত নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এই মান্ডি তৈরী হলে এলাকার ফুল চাষি ও ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন।