সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ১, ২০১৯

চিকিৎসকরা আমাদের গর্ব, তারা না থাকলে অনেক জীবন অচিরেই হারিয়ে যেতঃ মুখ্যমন্ত্রী

চিকিৎসকরা আমাদের গর্ব, তারা না থাকলে অনেক জীবন অচিরেই হারিয়ে যেতঃ মুখ্যমন্ত্রী

আজ চিকিৎসক দিবস উপলক্ষে এসএসকেএম হাসপাতালে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম লেভেল – ১ ট্রমা কেয়ার সেন্টার উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সম্মানীয় চিকিৎসকদের বিশিষ্ট চিকিৎসা সম্মান প্রদান করেন তিনি।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

আজ চিকিৎসক দিবসে বিশিষ্ট চিকিৎসকদের সম্মান প্রদান করলাম, তাদের সকলকে অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন

আজ ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিন, রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ভালো চিকিৎসকও ছিলেন। ১লা জুলাই আমরা চিকিৎসক দিবস হিসেবে পালন করি

আমরা মাটি তীর্থ তৈরী করেছিলাম, ২০১৩ সাল থেকে আমরা মাটি দিবস পালন করি বাংলায়। এরপর রাষ্ট্রসংঘ একে স্বীকৃতি দিয়ে ২০১৫ থেকে সারা বিশ্বে এই মাটি উৎসব পালন শুরু করে

চিকিৎসকরা আমাদের গর্ব। তারা না থাকলে অনেক জীবন অচিরেই হারিয়ে যেত

এসএসকেএম হাসপাতালে অনেক নতুন বিল্ডিং হয়েছে, অনেক পরিকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে। অন্যান্য হাসপাতালেরও অনেক উন্নয়ন হয়েছে

এসএসকেএম এর এই ট্রমা সেন্টারে রাজ্য সরকারের ১০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ হয়েছে, এখানে ২৫০ টি বেড আছে। আরও ১৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে স্ক্যান, এমআরআই করার জন্য

৭৬০টি নতুন পদ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটি ভারতবর্ষের মধ্যে অন্যতম সেরা ট্রমা সেন্টার।

আমরা অনেক দিন আগে ‘মধুর স্নেহ’ প্রকল্প শুরু করেছিলাম। অনেক শিশু জন্মাবার সময় মা মারা যায়, তাদের জন্য এই প্রকল্পে মাতৃদুগ্ধ ব্যাঙ্ক তৈরী করা হয়েছে। এই এসএসকেএমেই সেই ইউনিট আছে।

বাচ্চাদের জন্য ৩০০র বেশী এসএনএসইউ তৈরী হয়েছে। আগে এসএনসিইউ ছিল ৬টা, এখন সেই সংখ্যা ৭০এর বেশী।

পাঁচটি স্বাস্থ্য জেলা তৈরী হয়েছে। ১৬টি মাদার অ্যান্ড চাইল্ড হাব তৈরী হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের জন্য ওয়েটিং হাট তৈরী করা হয়েছে।

সামাজিক আর্থিক নিরিখে স্বাস্থ্যে বাংলা এক নম্বরে। ২০১১ সালে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ছিল ৬৫ শতাংশ যা আজ বেড়ে হয়েছে ৯৭.৫ শতাংশ।

শিশু মৃত্যুর হার ৩২ থেকে কমে ২৪ হয়েছে। প্রসূতি মৃত্যুর হার ১১৩ থেকে কমে ১০১ হয়েছে।

আমরা প্রায় ১১৬টি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান করেছি যেখানে ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ কম দামে ওষুধ পাওয়া যায়। ৪৩টি সুপার ক্রিটিকাল হাসপাতাল হয়েছে।

এখনও আমাদের ৪০০০ চিকিৎসক প্রয়োজন। গ্রামে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের একটু স্থানীয় ভাষা শিখতে হবে।

আট বছরে ২৮ হাজার শয্যা বেড়েছে। ২০ টি মেডিক্যাল কলেজ বেড়েছে। ডাক্তারি আসন বেড়ে হয়েছে ৩৮০০। আগে নার্স ছিল ৩২০০০ যা বেড়ে হয়েছে ৫২৯০০।

নার্সিং কলেজ করা হয়েছে। পুরুষ নার্সের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

কোয়াক ডাক্তারদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে যাতে তাঁরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারেন। হোমিওপ্যাথি ও আয়ুশকেও সম্মান করা হবে।

এসএসকেএমের এমার্জেন্সির উল্টোদিকের জমিতে আমরা ক্যান্সার হাসপাতাল করব।

স্বাস্থ্য সাথীতে সরকারের ৯২৫ কোটি টাকা লাগে। প্রায় ১১ হাজার স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে উন্নীত করা হয়েছে।

আগামী বছর থেকে ডাক্তার দিবসে কিছু নার্সকেও সম্মান দিতে হবে, জেলার নার্সরাও থাকবেন।

আমরা গরীব সরকার হলেও আমরা সব সময় চেষ্টা করি কিছু আর্থিক সম্মান দেওয়ার শ্রদ্ধা স্বরূপ।

আমরা সবাই সমাজের কাছে দায়বদ্ধ। সকলকে একসঙ্গে চলতে হবে।

সবাইকে বোঝাতে হবে একেকজন ডাক্তারকে অনেক রোগী দেখতে হয়। সেবা প্রতিষ্ঠানগুলিকে আমরা সবাই যেন ভালোবাসি। চিকিৎসককেও নিজের পরিজন ভাবতে হবে।