সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ৮, ২০১৯

বন্যা নিয়ন্ত্রণে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, বাড়তি খরচ হচ্ছে রাজ্যের

বন্যা নিয়ন্ত্রণে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, বাড়তি খরচ হচ্ছে রাজ্যের

বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের যে টাকা দেওয়ার কথা ছিল, তা তারা দেয়নি। ফলে রাজ্য সরকারকে অতিরিক্ত টাকা খরচ করতে হচ্ছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী একথা জানিয়েছেন।

পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের কপালেশ্বরী-কেলেঘাই প্রকল্প ও আইলা ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের নদীবাঁধ তৈরির কাজে কেন্দ্রের কাছ থেকে অনেক কম টাকা পাওয়া গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার মুর্শিদাবাদ ও নদীয়া জেলায় গঙ্গার ভাঙন প্রতিরোধে দু’বছর আগে টাকা দিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু এখনও সেই টাকা মেলেনি।

সেচমন্ত্রী বলেন, ২০১২ সালে ৩২৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করার সময় কেন্দ্র ৭৫ ভাগ টাকা দেবে বলে জানিয়েছিল। ২০১৪ সালে মোদি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর তারা জানায়, ৫০ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র। কিন্তু সেই টাকাও মেলেনি। ফলে রাজ্যকে অতিরিক্ত প্রায় ১২৩ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। একটি বাঁধ নির্মাণ ছাড়া প্রকল্পের বাকি কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন। প্রকল্পটি রূপায়িত হওয়ার ফলে ঘাটাল, ময়না সহ বেশ কিছু এলাকায় বন্যার প্রকোপ কমেছে। এই প্রকল্পে আটটি সেতু তৈরি করা হয়েছে।

সেচমন্ত্রী আরও বলেন, ২০০৯ সালে আইলায় ক্ষয়ক্ষতির পর নদী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পে কেন্দ্র ১,৩৩৯ কোটি টাকা দেবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দিয়েছে মাত্র ৫৪৯ কোটি টাকা। এই ক্ষেত্রেও কেন্দ্র ৭৫ শতাংশের বদলে অর্ধেক টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রকল্পে রাজ্য সরকারকে অতিরিক্ত প্রায় ১১৭ কোটি টাকা খরচ করতে হয়েছে। বঙ্কিমবাবু বলেন, সুন্দরবন এলাকায় প্রায় ১০৬ কিলোমিটার নদীবাঁধ বিপজ্জনক অবস্থায় আছে। মন্ত্রী জানান, এখনও পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটারের কাজ হয়েছে। ২৫ কিলোমিটারের কাজ চলছে। এটা হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। কোন অংশ বিপজ্জনক, তা খতিয়ে দেখে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলায় হুগলি নদী জাতীয় জলপথ হওয়ায় সেখানে ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্পে ৭৯৩ কোটি টাকা দিতে কেন্দ্র রাজি হয়। ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলসম্পদ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠকে এটা ঠিক হয়েছিল। কিন্তু কেন্দ্র এখনও কোনও টাকা দেয়নি।