অগাস্ট ৩, ২০১৮
জিডিপিতে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ,মান্যতা দিয়েছে কেন্দ্র:অমিত মিত্র

জিডিপিতে দেশের থেকে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, কেন্দ্র মেনে নিয়েছে যে রাজ্যের গড় উৎপাদন দেশের গড় উৎপাদনের থেকে বেশি। দেশের তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের গড় উৎপাদন অনেকটাই বেশি। রাজ্যের গড় অভ্যন্তরিন উৎপাদন ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে বেড়েছে ৯.১৫ শতাংশ। সেখানে দেশে তা ৬.৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র বুধবার নবান্নে এই তথ্য পেশ করে জানান, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান সংস্থা স্বীকার করে নিয়েছে যে রাজ্যের জিডিপির হার অনেকটাই বেশি। তার ফলে পঞ্চদশ অর্থ কমিশন রাজ্যের দাবি মেনে নিতে পারে। কারেন্ট প্রাইসে রাজ্যের জিডিপি র লক্ষ্য মাত্রা ছিল ২০১৭-১৮ তে ১০ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু রাজ্যের জিডিপি হয়েছে ১০,২০,৮৫৮ কোটি টাকা। লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে।
অমিত মিত্র জানালেন, “পঞ্চদশ অর্থ কমিশন এই তথ্য মেনে নিলে রাজ্যের সুবিধা হবে। পাশাপাশি জিডিপি বাড়লে কর্মসংস্থানও বাড়বে।”শুধু জিডিপি বৃদ্ধিই নয়, এই সময়ে রাজ্যে শিল্পবৃদ্ধির হার জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই বেশি হয়েছে।শুধুমাত্র উৎপাদন ক্ষেত্রে বাংলার বৃদ্ধির হার জাতীয় স্তরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এই আর্থিক বছরে উৎপাদন শিল্পে বাংলার বৃদ্ধির হার ১০.২০ শতাংশ। জাতীয় স্তরে তা ৫.৭৪ শতাংশ।
এই মান্যতা মেলায় কী লাভ হবে রাজ্যের? অর্থমন্ত্রীর জবাব, জিডিপি বৃদ্ধির মানে হচ্ছে সম্পদ তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য অনেক এগিয়েছে। মূলধনী ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে জিডিপিতে। ২০১০-১১ সালে যেখানে রাজ্যের মূলধনী ব্যয় ছিল ২,২২৫ কোটি টাকা, বিগত আর্থিক বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১,৫৬১ কোটি, যা ন’গুণেরও বেশি। জিডিপি বাড়াতে এবং মান্যতা মেলায় পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের কাছে রাজ্যের দাবি প্রতিষ্ঠা করতে আরও সহায়ক হবে বলেন অমিত মিত্র।
সরকারি অর্থ উন্নয়ন ও পরিকাঠামো খাতে সঠিক সময়ে খরচ করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে প্রশাসনিক বৈঠক করেছেন, তাও এই জিডিপি বৃদ্ধির সাফল্যের অন্যতম কারণ বলে জানান অর্থমন্ত্রী।