সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮
বেড়েছে আয়, উন্নততর হচ্ছে রাজ্যের পরিবহণ পরিকাঠামো

গত সাত বছরে রাজ্যের উন্নয়নে এক নতুন দিগন্ত খুলে গেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় রাজ্যের প্রত্যেক প্রান্তে উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। দপ্তরগুলির কাজে এসেছে গতি, প্রশাসনিক কাজে এসেছে স্বচ্ছতা ও দক্ষতা। যেমন, নিয়মানুবর্তিতার ফলে আয়বৃদ্ধির মুখ দেখছে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর। যার ফলস্বরূপ উন্নততর হচ্ছে রাজ্যের পরিবহণ পরিকাঠামো।
ওভারলোডিং এর বিরুদ্ধে জরিমানা, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের ফি, ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি সহ বিভিন্ন নিয়মকানুন পালন ঠিকমত করা হচ্ছে কিনা তা মাঝে মাঝেই খতিয়ে দেখে দপ্তর। মোটর ভেহিকেল ইঞ্জিনিয়াররা এগুলি তদারকি করেন। সেপ্টেম্বর মাসে আরও ২০০ নতুন মোটর ভেহিকেল ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হবে।
২০১০-১১ আর্থিক বর্ষে ৯৬০ কোটি টাকা আয়ের তুলনায় ২০১৭-১৮ সালে দপ্তরের আয় হয়েছে ২,২৯২ কোটি টাকা। পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকদের আশা ২০১৮-১৯ সালে আয় বেড়ে হবে ২৫০০ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ সালে গড়ে প্রতি মাসে আয় হয়েছে ১৯১ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ সালের প্রথম চার মাসে গড় আয় হয়েছে ২১০ কোটি টাকা।
এই আয় বাড়ার ফলে পরিবহণ দপ্তর পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে। গত সাত বছরে নতুন ১২০০ বাস চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি, ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’ কর্মসূচির মাধ্যমে পথ দুর্ঘটনা কমানোর জন্য পুলিশকেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দপ্তর। এর জন্য নানা রকম সচেতনতা অভিযান চালানো হয়। উপযুক্ত পরিকাঠামোও গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া সিএনজি চালিত এবং ই-বাস পরিষেবাও শুরু করা হয়েছে।
পরিকাঠামো তৈরীর জন্য তহবিল তৈরী করা হয় পরিবহণ দপ্তরের বাজেট থেকে। এই বাজেট বহুগুন বাড়ানো হয়েছে। উল্টোদিকে, পূর্বতন বাম সরকার বাস কিনতে ঋণ নিত, যার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ১৩২ কোটি টাকা।