সাম্প্রতিক খবর

অগাস্ট ২২, ২০১৮

দেড় কোটি ব্যয়ে পক্ষী মিউজিয়াম পূর্বস্থলীতে

দেড় কোটি ব্যয়ে পক্ষী মিউজিয়াম পূর্বস্থলীতে

ফি-শীতে দেশবিদেশের পরিযায়ী পাখির মেলা বসে পূর্বস্থলীর ভাগীরথী লাগোয়া বাজারচরে। পাখি দেখতে আর চড়ুইভাতির টানে কাছে দুরের বহু মানুষের ভিড় জমে। এর ফলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নতিও হয়েছে। সরকারও অতিথিনিবাস-সহ সৌন্দর্যায়ন করেছে।

এই তালিকায় বড় সংযোজন পক্ষী মিউজিয়াম। মিউজিয়ামটি গড়তে দেড় কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে রাজ্য সরকার। কাজ শুরু হবে বর্ষার পরেই। এখানে মিউজিয়াম হলে জায়গাটি আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এখানে আসা বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির ছবি, পাখি সম্পর্কে তথ্য রাখা হবে। বছর ২৫ধরে পূর্বস্থলীর চুপিরচর, রাজারচর পরিযায়ী পাখিদের গন্তব্য। এখানে জন্মেছিলেন বিশিষ্ট প্রাবন্দিক অক্ষয় দত্ত, ছন্দের জাদুকর সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, কালাজ্বরের ওষুধের আবিষ্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীরা। তাদের সম্পর্কেও নানা তথ্য থাকবে। মিউজিয়ামের পাশেই থাকবে কনফারেন্স রুম।

উত্তর এশিয়া, ইউরোপ, সাইবেরিয়া, বৈকাল হ্রদ, কাস্পিয়ান সাগর, তিবৃত-সহ বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তো বটেই, দেশের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল থেকেও প্রচুর পাখি আসে। বছর দশেক আগে থেকে পর্যটন দপ্তর জায়গাটিকে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। গোটা এলাকাটি ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে। হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে।

গোটা এলাকাটিকে শব্দবারণ এলাকা করা হয়েছে। অতিথি-পাখিদের গায়ে যাতে কাঁটার আঁচড়টুকু না লাগে, তার জন্য সদাসতর্ক এলাকার চুপি, কাষ্ঠশালী, পলাশপুলির জনতা-জনার্দন। আগের তুলনায় এখন রাজ্যে বিভিন্ন দেশ বা দেশের অন্য জায়গা থেকে আসা পাখির সংখ্যা কমেছে। এজন্য পাখি শিকারি ও অত্যুতসাহীদেরই অনেকে দায়ী করেন। ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে গোটা রাজ্যেই প্রশাসনের তরফে কঠোর পদক্ষেপ করা হয়েছে। এমনকি পরিযায়ীরা যখন রাজ্যের অরণ্যগুলিতে আসে, সেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অরণ্যগুলিতে ক্যামেরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।