ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯
বাণিজ্য সম্মেলনে বাংলার সাথে কাজ করার আগ্রহ নানা দেশের প্রতিনিধিদের
বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে বাংলার সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করলেন নানা দেশের প্রতিনিধিরা। দিনের দ্বিতীয় প্লেনারি সেশনে তারা তুলে ধরেন বাংলার সাথে কাজ করার বিভিন্ন সুযোগ।
দেখে নিন এক ঝলকে:
জুনাইদ আহমেদ, বিশ্ব ব্যাঙ্কের কান্ট্রি ডিরেক্টর, ভারত – পূর্ব ভারতে লজিস্টিক কেন্দ্র, যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং কানেক্টিভিটি হাব হিসেবে পশ্চিমবঙ্গ বহুকাল খ্যাত। এই খ্যাতিকে উন্নয়নের জন্য কাজে লাগাতে হবে। এই উন্নয়নের ফলে উপকৃত হবে ৩০ কোটি মানুষ।
এ রাজ্যের মত লোকাল গভর্নেন্সে বিনিয়োগ এদেশে আর কোনও রাজ্য করেনি। এ রাজ্যের পঞ্চায়েত ব্যাবস্থার শরীক আমরা। যে রাজ্য তার কন্যা সন্তানদের জন্য বিনিয়োগ করে, সে রাজ্য বিনিয়োগের আদর্শ স্থান। এবং এ রাজ্যের কন্যাশ্রী মেয়েদের অবস্থা আমুল পরিবর্তন করেছে।
আমরা বিশ্ব ব্যাঙ্ক-পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সহযোগিতা শুরু করতে চাই। এর ফলে মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্য পূরণ আরও সহজ হবে। এই বছর জুন মাসের মধ্যে আমরা বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের গণ্ডী পার করব এবং এই পরিমাণ বেড়ে চলবে।
রড হিল্টন, ভারতে নিয়োজিত অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাই কমিশনার- এখানে এসে উপলব্ধি করছি ‘বেঙ্গল মিন্স বিজনেস’ যথার্থ। দেশের যে ১০টি রাজ্যের সাথে অস্ট্রেলিয়া সরকার কাজ করতে চায় তার মধ্যে একটি হল বাংলা। বাংলার সকল লক্ষ্য পূরণে অস্ট্রেলিয়া সরকার সহায়তা করবে রাজ্যকে।
প্রাপ্তিঃ অস্ট্রেলিয়া খুব শীঘ্র কলকাতায় একটি কন্স্যুলেট খুলবে।
জঁ ক্লদ কুজেনার, লুক্সেম্বার্গের রাষ্ট্রদূত- পঞ্চম বিশ্ব বঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনের একটি পার্টনার দেশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের দুটি সংস্থা কলকাতায় আছে যারা নতুন হাই টেক সল্যুশন এর সাথে যুক্ত আছে। আগামী দিনে আমরা যোগদান বাড়াব।
ক্রিস্পিন সিমন, হার ম্যাজেস্টিজ ট্রেড কমিশনার ফর সাউথ এশিয়া – আমরা সরকারি বেসরকারি সংস্থা এবং ইউকেআইবিসি মিলিয়ে ৪০ সদস্যের বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল। এখানে আগতরা প্রাথমিকভাবে ব্রিটিশ প্রযুক্তির সাথে যুক্ত। লন্ডন ট্রান্সপোর্ট ইতিমধ্যেই মৌ স্বাক্ষর করেছে যার ফলে এখানকার পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থা উন্নত হচ্ছে। আমরা বৈজ্ঞানিক গবেষণার ক্ষেত্রেও কাজ করতে চাই।
মিলান হোভোরকা, চেক রিপাবলিকের রাষ্ট্রদূত- আমাদের দুই দেশের মানুষের মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক আছে। আমি ডজনের বেশী চেক কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে এখানে এসেছি। চেক ব্যাবসায়ীরা প্রতি বছর কলকাতায় আসেন খনিজ ব্যাবসার মেলা ও প্রদর্শনীতে।
মারকু কিনানেম- আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেট, এক্সটারনাল ইকোনমিক রিলেশনস – আমরা এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছি ১২ জনের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাস্টেনেবেল সলিউশনের জন্য। এই কোম্পানিগুলি এখানে একসঙ্গে কাজ করতে চায়।
জঁ মার্ক ফেনে, মিনিস্টার কাউন্সেলর ফর ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স, ভারতের ফরাসি দূতাবাস- আরও বেশী সংখ্যক ফরাসি সংস্থা বাংলায় আসছে। কয়েক বছর আগেও এটি সম্ভব ছিল না। বাণিজ্য বান্ধব পরিবেশের জন্যই এটা সম্ভব হয়েছে। আগামী বছর এর দ্বিগুণ বড় প্রতিনিধি দল আসবে। বর্তমানে কলকাতায় ১৪-১৫টি ফরাসি সংস্থা আছে।
নিশা বিসওয়াল, সভাপতি, ইউএস ইন্ডিয়া বিজনেস কাউন্সিল- ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নোডাল কানেক্টর হিসেবে বাংলার গুরুত্ব অপরিসীম। উত্তর ক্যারোলিনা থেকে একটি বড় প্রতিনিধিদল এসেছে। আগামীদিনে একসাথে কাজ করার অনেক সুযোগ আসবে।