ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯
বাণিজ্যে বসতে বাংলা
দুদিন ব্যাপী পঞ্চম বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন শুরু হচ্ছে আজ। গত চার বছরে চারটি সফল সম্মেলন করেছে বাংলা যেখানে সারা বিশ্বের ৩৫টিরও বেশী দেশ থেকে প্রতিনিধিদল আসে। এছাড়া দেশের নানা রাজ্য থেকেও আসে বাণিজ্য প্রতিনিধি দল। এবারের বাণিজ্য সম্মেলনের পার্টনার দেশগুলি হল, অস্ট্রেলিয়া, ইউনাইটেড কিংডম, চেক রিপাবলিক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, জাপান, পোল্যান্ড, কোরিয়া রিপাবলিক এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
এই সম্মেলন হবে নিউ টাউনেরবিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে। এই সম্মেলনের উদ্বোধনে বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘বেঙ্গল মিন্স বিজনেস’ শিরোনামকে যথাযথ প্রমাণিত করে চতুর্থ বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ১৪৫.৯৩ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
বাংলার অনেক সুবিধা আছে বাণিজ্যিক হাব হয়ে ওঠার। বাংলা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার প্রবেশপথ, ভৌগলিক ভাবে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, মায়ানমারের সঙ্গে পাশাপাশি অবস্থান। সীমান্তের মাধ্যমে ব্যাবসা করার জন্য খুব উপযোগী। উত্তর পূর্বের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যাবস্থার কারণে বাংলা ভারতবর্ষের ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতি বাস্তবায়ন করবে।
বাংলা পার্শ্ববর্তী দেশগুলির সঙ্গে বাণিজ্যে ‘সিল্ক রোড’ হিসেবে নিজেকে ব্যবহার করতে পারে। এছাড়া, যাতায়াতের খরচ কম হবে, জা বাণিজ্যিক দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সীমান্তের মাধ্যমে বাণিজ্য বিনিয়োগ বাড়ানোর সহায়ক হতে পারে।
পূর্বাঞ্চলে ম্যানুফ্যাকচারিং অপারেশনের মাধ্যমে গ্লোবাল ভ্যালু চেনের শক্ত ভিত্তি হওয়ার সুবিধাও আছে বাংলার। ভারত এবং আশিয়ানের মধ্যে গ্লোবাল ভ্যালু চেন ম্যানুফ্যাকচারিং অপারেশনের ভিত্তি হওয়ার সুযোগও আছে।
আগের বছরের মতো এবছরেও চীন থেকে এক বড় বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল আসার কথা। চীনা বিনিয়োগের জন্য এক উপযুক্ত স্থান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলা কারণ চীন ভারতকে আমদানি এবং বিনিয়োগের পার্টনার হিসেবে পেতে আগ্রহী।
এই বছর আগন্তুকের সংখ্যা ৪০০০ ছড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। চীন ছাড়াও, ইউনাইটেড কিংডম, লুক্সেমবার্গ, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশ থেকেও প্রতিনিধিরা আসছেন।
ফাইল চিত্র