Latest News

September 5, 2017

Swasthya Sathi to cover teachers from now, Bengal CM announces on Teachers’ Day

Swasthya Sathi to cover teachers from now, Bengal CM announces on Teachers’ Day

Bengal Chief Minister Mamata Banerjee presented the Siksha Ratna Samman awards to outstanding teachers of Bengal at a function at Nazrul Mancha today on the occasion of Teachers’ Day.

On the occasion, the CM announced that the State’s medical insurance scheme ‘Swasthya Sathi’ will cover teachers from now. This would take the number of beneficiaries under the scheme from 47 lakh to 55.5 lakh.

The Chief Minister said, “I am proud to declare that after we started the Kanyashree Scheme, the school dropout rate among girls has come down by 16.5%. This is big achievement”.

About improvement in education infrastructure, she said, “We have set up 16 universities and 46 colleges. Four lakh college seats have been added. Nine medical colleges have been established; seven more will be set up. We have increased medical seats by 1,800. Over 300 ITIs and polytechnics have been established, and 6,000 new schools have been set up”.

The Chief Minister went on to speak about the various schemes being run by the State Government: “We have even extended the Kanyashree Scheme to university students. We have started the Sikshashree Scheme for SC/ST students. Over 1.3 lakh minority students have been given scholarships. We have also started the Swami Vivekananda Merit-cum-Means Scholarship”.

She also said there was a plan to include from next year Class VIII students in the Sabuj Sathi scheme, under which the government has already distributed 40 lakh Sabuj Sathi bicycles; 30 lakh more will be distributed this year. We will include Class VIII in this scheme; we will have to look at the finances”.

She also criticised the needless comments of some politicians: “Some political leaders are giving a lot of gyan. Those who have become morally bankrupt cannot do anything positive or fruitful”.

 

স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় এলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা, শিক্ষক দিবসে ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

 

আজ শিক্ষক দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের কৃতি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের হাতে তুলে দেন ‘শিক্ষা রত্ন’ পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ স্কুলকেও পুরস্কৃত করা হয়।

শিক্ষক দিবস উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন এখন থেকে স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পের আওতায় এলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। প্রায় ৫৫.৫ লক্ষ কর্মী শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবকদের পরিবার এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মধ্যে আসবেন।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিশেষ কিছু অংশঃ-

আজকের দিনটা আমাদের গর্বের দিন। শিক্ষক শিক্ষিকাদের অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের তাদের কাজের স্বীকৃতি হিসেবে, কিছু শিক্ষক সন্মাননা আমরা শিক্ষারত্ন, শিক্ষক সন্মাননা তাদের হাতে তুলে দিতে পেরে নিজেদের ধন্য বলে মনে করছি। শিক্ষার আরেক নাম দীক্ষা। শিক্ষাগুরু, দীক্ষাগুরু তাদের কোনও শেষ নেই। তাঁরা চিরকাল আমাদের মধ্যে বিরাজ করে।

আমরা বলি, স্বদেশে পুজ্যতে রাজা বিদ্যান সর্বত্র পুজ্যতে।

আজকে আমার ছোট্ট ছোট্ট বন্ধুরা যারা আজকের স্টুডেন্ট, আগামী দিন তারা দেশের ভবিষ্যৎ, তারা আমাদের অ্যাসেট সমাজের গর্ব। আজকে আমি গর্বের সাথে ঘোষণা করছি, কন্যাশ্রী করবার পর ১৬.৫ পারসেন্ট আমাদের ড্রপআউট রেট কমেছে যেটা আমাদের শিক্ষার এটা বেড়েছে মেয়েদের। এটা ভীষণ ভালো। আমরা তো চাই আমার এডুকেশন প্রত্যেকটা ঘরে ঘরে শিক্ষার আলো পৌঁছাক।

এই ছ’বছরের মধ্যে আমরা ১৬টা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করতে পেরেছি, ৪৬টা নতুন সরকারি কলেজ করেছি, আমরা প্রায় কলেজের সিট চার লক্ষের ওপর বাড়িয়েছি, আমাদের নতুন মেডিক্যাল কলেজ নটা হয়ে গেছে আরও সাতটা হবে, ১৬টা হবে। মেডিক্যাল কলেজেও আমি দেখছিলাম হিসেব করে ৬৬/৬৭ বছরে যদি ২৭০০ সিট থাকে, তাহলে মাত্র ছ’বছরে আমরা প্রায় ওটা ১৮০০ বাড়িয়েছি। পলিটেকনিক কলেজ, আইটিআই ৩০০ নতুন করে তৈরি করা হয়েছে, সুযোগ অনেক আছে, ৬০০০ নতুন বিদ্যালয় তৈরি হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।

এবার আমরা কে৩ করে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়েও চালু করেছি। সংখ্যালঘুরা ১.২৫ কোটি স্কলারশিপ পেয়েছে। সিডিউল্ড ক্লাস, সিডিউল্ড ট্রাইব ছেলেমেয়েরা “শিক্ষাশ্রী” স্কলারশিপ পেয়েছে। এছাড়াও আমরা স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম স্কলারশিপ তৈরি করেছি। ইউজিসি টাকা বন্ধ করে দিয়েছিল, আমরা টাকা বাড়িয়ে ২০০ কোটি টাকা করে ওখান থেকে ২০ কোটি টাকা ওদের দিয়ে দিয়েছি।

সরকারি হাসপাতালে ট্রিটমেন্ট আমরা ফ্রিতে করি। ৪০ লক্ষ ছেলেকে সবুজ সাথী সাইকেল দিয়েছি আমরা। এবছরে আরও ৩০ লক্ষ দেওয়া হচ্ছে। টাকা পয়সা সঙ্কুলান হলে আমি ক্লাস এইটকেও এই আওতায় নেওয়ার চেষ্টা করছি।

৯কোটি ২০লক্ষের মধ্যে ৮কোটি ১০ লক্ষ মানুষ খাদ্যসাথী প্রকল্পে আছে। “সবুজ শ্রী” একটা নতুন পরিকল্পনা।

সমাজ গড়ে শিক্ষা, শিক্ষা গড়ে সভ্যতা, সভ্যতা গড়ে সংস্কৃতি, সংস্কৃতি গড়ে মানবিকতা। শিক্ষা না থাকলে সারা জীবনটাই মরুভুমি হয়ে যাবে। শিক্ষাই হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ।

জেনারেশনের পর জেনারেশনকে ইংরাজি পড়তে দেওয়া হয় নি। আমরা চাই ছেলেমেয়ারা বাংলাও শিখবে, ইংরাজিও শিখবে, অন্য ভাষা শিখতে চাইলেও শিখবে। যার যে ভাষা পছন্দ, সেটা শিখবে। মাতৃভাষা জানার নিশ্চয় প্রয়োজন আছে। এখন অনেক এডভান্টেজ, সেটাকে এডভান্টেজ হিসেবে কাজে লাগাতে হবে।

মা যেমন ছেলেমেয়েদের মানুষ করে, একটা স্কুলটিচারও মানুষ করেন। তারা তৈরি করে দেয় বেসটা।

আমি কাউকে কাউকে দেখি শুধু সমালোচনাই করে যায়। যারা দেউলিয়া হয়ে যায়, তারা এই কাজগুলোই করে, মাথা দিয়ে ভালো কাজ বেরোয় না।

বাংলাকে যে যত অবহেলা করুক, বঞ্চনা করুক, লাঞ্ছনা করুক, হিংসা করুক, তারা প্রতিযোগিতায় পারে না। বাংলার মেধা, বাংলার ট্যালেন্ট বিশ্ববিখ্যাত। বাংলার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় না পেরে কেউ কেউ কাঁকড়ার মত বাংলাকে টেনে ধরতে চায়।

আমরা গর্বিত আমাদের শিক্ষাকুল, গুরুকুল, শিক্ষকসমাজ, শিক্ষিকাসমাজ, এবং সাথে টিচিং-ননটিচিং যারা আছেন তাদের নিয়ে। শিক্ষালয় দেবালয়ের মত, এগুলোকে সুন্দর রাখুন, সুস্থ রাখুন।