Latest News

February 3, 2014

Bengal earns laurels for achievement in 100 days work scheme

Bengal earns laurels for achievement in 100 days work scheme

Bankura district in West Bengal has earned laurels from the central government for being one of the 9 best districts in the country for effective implementation of MGNREGA. Lego Gram Panchayat of Kotul Block in Bankura also made it to the list of `Best Gram Panchayat` in the country. Burdwan district of the state missed the slot of 9 best districts by a whisker. The awards were presented on February 2, observed as MGNREGA Diwas.

Bankura was once a bastion of the Maoists, deprived of any development. After Poriborton in the state, the new government, under the leadership of Ms. Mamata Banerjee, brought in a wave of development in Jangalmahal, and thus peace returned in the area. The Chief Minister also made frequent visits to the area and held regular review meetings to oversee the completion of projects meant for Jangalmahal.

The district administration was successful in setting up 138 mango orchards in the Khatra Block of Bankura, an area where agriculture in not so easy because of infertile soil. While only 12.51 man-days could be created in 2009-10, the number increased to 21.82 in 2012-13, with the female participation reaching an all time high of 42% in the district. The income per year for every family in these areas has increased to an all time high of Rs. 1.6 lakh.

All these initiatives by the state government, with constant and proper implementation by the district administration, has resulted in changing the lives of the local people, leading them towards a better future.

একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কৃতিত্বের জন্য দেশের সেরা ৯ জেলার মধ্যে স্থান পেল বাঁকুড়া। কিছু দিন আগেও যে সব এলাকা মাওবাদীদের ঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল, সেখানকার বাসিন্দারাই এ বার পশ্চিমবঙ্গকে কেন্দ্রীয় সরকারের সম্মান এনে দিলেন। খাতড়া মহকুমায় ১৩৮টি আম বাগান তৈরি করে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের পুরস্কার জিতল এই জেলা। রবিবার, দিল্লির বিজ্ঞানভবনে বাঁকুড়ার জেলাশাসক বিজয় ভারতীর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেবেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের কর্তারা। জেলার প্রতিনিধি হিসেবে গিয়েছেন শান্তি শবর, সরস্বতী হেমব্রমও। রানিবাঁধ ব্লকের লিপিগিরি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই দুই শবর মহিলা সভায় জানাবেন, আমবাগান কেমন করে তাঁদের জীবন বদলে দিয়েছে।

একশো দিনের কাজের নিরিখে দেশের সেরা ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের তালিকাতেও রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বাঁকুড়ারই কোতুলপুর ব্লকের লেগো গ্রাম পঞ্চায়েত এই পুরস্কার পাচ্ছে। ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে বিশেষ সাফল্যের জন্য প্রতি বছরই কেন্দ্রীয় সরকার পুরস্কার দেয়। এ বছর বাঁকুড়া এবং বর্ধমান, এই দুটি জেলা প্রাথমিক তালিকায় ছিল। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল দুটি জেলা পরিদর্শন করে জানিয়ে দেয়, বাঁকুড়াই জিতল।

দিল্লিতে নিযুক্ত পশ্চিমবঙ্গের রেসিডেন্ট কমিশনার ভাস্কর খুলবে জানান, বাঁকুড়ার রাণীবাঁধ, রায়পুর, সিমলাপাল ও সারেঙ্গা ব্লকগুলি এতদিন মাওবাদী অধ্যুষিত ছিল। ২০০৯-১০ সালে যেখানে মাত্র ১২.৫১ লক্ষ শ্রমদিবস তৈরি হয়েছিল, সেখানে ২০১২-১৩ সালে ২১.৮২ লক্ষ শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে। মহিলাদের কাজে যোগ দেওয়ার হার ৪২ শতাংশে পৌঁছেছে।

তবে বাঁকুড়া নজর কেড়েছে আরও একটি কারণে। নানা সরকারি প্রকল্প, এবং একাধিক দফতরের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করার নিদর্শন তৈরি করেছে এই জেলা। জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন এবং একশো দিনের প্রকল্প, এই দুটি সরকারি প্রকল্পের সমন্বয় করে গ্রামের মানুষের রোজগার বাড়াচ্ছে এই জেলা। বাঁকুড়ার এই এলাকায় স্বাভাবিক নিয়মে কৃষিকাজ হওয়া দুষ্কর। বিকল্প চাষের সন্ধান করতে গিয়ে জেলা প্রশাসন আমবাগান তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। গাছের চারা বিতরণ থেকে শুরু করে বাগান পরিচর্যা, পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে উদ্যানপালন দফতরও। এলাকার স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সঙ্গে নিয়ে, জীবিকা মিশন, ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্প এবং একশো দিনের প্রকল্পকে কাজে ৩৫০ হেক্টর অনুর্বর জমি লিজ নিয়ে ১৩৮টি আমবাগান তৈরি হয়েছে। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের হিসেব, এর ফলে আট বছর পর থেকে ওই এলাকার পরিবার পিছু বছরে ১.৬ লক্ষ টাকা আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

এ ছাড়া বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের সুসুনিয়া পাহাড়ে ইকো-ট্যুরিজম প্রকল্পটিও তৈরি হয়েছে ১০০ দিনের প্রকল্পে। এতেও যুক্ত করা হয়েছে জাতীয় গ্রামীণ জীবিকা মিশন, এবং সেই সঙ্গে পর্যটন দফতরকে।

সহভাগী পরিকল্পনার এটি একটি উল্লেখযোগ্য নিদর্শন, মনে করেছে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দল। যেভাবে বিভিন্ন দফতরকে সঙ্গে নিয়ে এই জেলায় প্রকল্পটি রূপায়িত হয়েছে তার প্রশংসা করেছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক।