সাম্প্রতিক খবর

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯

ভিনরাজ্যের পাশাপাশি এবার থেকে বিদেশেও রপ্তানি হবে বাংলার মধু

প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গায় ‘হানি হাব’ তৈরী করবে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ও উদ্যানপালন দপ্তর। মৌ পালকদের থেকে মধু সংগ্রহ করে এখানে প্রক্রিয়াজাত করে বাজারে বিক্রী করা হবে। দেশীয় বাজারের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করা হবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হওয়ার পর মাল্টিপারপাস সমবায়ের মাধ্যমে মৌ পালকেরা সরাসরি মধু বিক্রী করে অনেক বেশী লাভজনক হবেন।

উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবন অঞ্চলে সারা বছরই মধু সংগ্রহ করেন মৌ পালকেরা। এই জেলায় সাড়ে তিন হাজারের বেশী মৌ পালক আছেন। এই জেলায় উৎপাদিত মধু দেশের বভন্ন রাজ্যে এবং বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। ইউরোপীয় দেশগুলিতে বাংলার মধুর বেশ চাহিদা আছে। কিন্তু, সরকারিভাবে এই প্রথম রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ১১ই জানুয়ারি যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই হাবের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এই প্রকল্পের জন্য তিনি ৯ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেন। মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই।

দেগঙ্গার কিষাণ মান্ডিতেই এই হাব তৈরী করা হবে। তাই, নতুন বিল্ডিং তৈরী করতে হবে না। এর ফলে খরচ এবং সময় কম লাগবে। এই হাবে বেশ কয়েকটি ইউনিট থাকবে। যেমন, কালেকশন সেন্টার, প্রসেসিং ইউনিট, প্যাকেজিং সেন্টার, স্টোরেজ ইউনিট, ডিসপ্লে ইউনিট ইত্যাদি।

প্রথমে মৌ পালকদের থেকে কালেকশন সেন্টারে মধু সংগ্রহ করা হবে। তারপর সেই মধু প্রসেসিং ইউনিটে যাবে। প্রসেসিং হলে প্যাকেজিং করা হবে। সেখান থেকে স্টোরেজ ইউনিটে যাবে। এরপর ব্র্যান্ডিং ও প্যাকেজিং করা হবে।

এই মধুর একটি ব্র্যান্ড নেম থাকবে। মৌমাছি চাষ মানে শুধু মধু উৎপাদন নয়। মৌমাছিরা ফুলের পরাগ মিলনও ঘটায়। তাই, যেখানে মৌমাছির চাষ বেশী, সেখানে কৃষিক্ষেত্রে ২০-৩০ শতাংশ উৎপাদন বেড়েছে।

সৌজন্যেঃ বর্তমান