অগাস্ট ২৪, ২০১৮
মাদুরে আদর রাজ্যের, খড়গপুরে মাদুর হাব তৈরীর ভাবনা

হাট বসেছে মঙ্গলবারে। মেদিনীপুরের সবং ব্লকে। থরে থরে সাজানো মাদুর। বাড়ির কাছেই হাটে বিকিকিনি। শিল্পীদের বোনা মাদুরে খেলছে লাভের আলো। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক থেকে থেকে ব্যবসার জন্য সহজেই মিলছে ঋণ। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে খুশি মাদুর শিল্পীরা।
এ এক হাটের ছবি… শুক্রবারে নয়, হাট বসে মঙ্গলবারে…বক্সিগঞ্জে পদ্মাপারেও নয়, এই হাট বসে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকে। সবং ব্লকে মোট তেরোটি গ্রাম পঞ্চায়েত। অধিকাংশ মানুষই যুক্ত মাদুর শিল্পের সঙ্গে। গোটা দেশে যে পরিমাণ মাদুর তৈরী হয়, তার অর্ধেকের বেশি মাদুর তৈরী হয় সবংয়ে।
বিআরজিএফ-এর ফান্ড থেকে জেলায় মাদুর শিল্পের উন্নয়নের জন্য ৮৫ কোটি টাকা দিয়েছে রাজ্য সরকার, খড়গপুরে বিদ্যাসাগর ইন্ডাস্ট্রিয়াল, পার্কে মাদুর হাব তৈরীর পরিকল্পনা, ৬ কোটি টাকা দিয়ে জমি কেনা হয়েছে, সব পঞ্চায়েত এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক খোলা হয়েছে ৷ ব্যবসার জন্য সহজেই ঋণ পাচ্ছেন শিল্পীরা।
সরকারি উদ্যোগে মাদুরকাঠি চাষে হাল ফিরেছে। নতুন করে বাঁচছেন শিল্পীরাও। সবং মাদুর শিল্পের প্রাণকেন্দ্র। মঙ্গলবারের হাট জনপ্রিয় হলেও, এলাকায় ছোট ছোট অনেক বাজারেই মাদুর ব্যবসা জমজমাট। রুইনান ও ঝিকুরিয়াতে দু’টি কর্মতীর্থও তৈরী করেছে রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েতগুলি থেকে উদ্যোগ নিয়ে শিল্পীদের এই কর্মতীর্থে নিয়ে আসা হবে শীঘ্রই।
মাদুর বার্তা, মাদুর-নির্মাতাদের সাফল্যের কাহিনী সম্পর্কে তথ্য সম্বলিত একটি বই সম্প্রতি WBKVIB প্রকাশ করেছে। যেমন, পশ্চিম মেদিনীপুরের বালিচৌক এর কারিগর গৌরী রানী জানার সাফল্যের কাহিনী আছে এই বইতে। তিনি সম্প্রতি মসলন্দ মাদুর বিক্রির জন্য কিরগিজস্তান গিয়েছিলেন। আছে পিংলার শিল্পী অরুণ খাতুয়ার কথা, যিনি দিল্লিতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় মাদুর বিক্রি করেছেন ৩ লক্ষ টাকায়।