সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৮
বাংলার লক্ষ্য সাড়ে ১৮ লক্ষ টন মাছ উৎপাদন

এবার মাছ উৎপাদনে স্বয়ম্ভর হতে প্রথম থেকেই তৎপর রাজ্য মৎস্য দপ্তর। গত বছর মাছের উৎপাদন হয় ১৭.৪ লক্ষ মেট্রিক টন। কিন্তু, সাদা জলের মাছ হিসেবে পরিচিত রুই-কাতলার জোগান যথেষ্ট নয়। প্রতি বছর মাছের চাহিদা বাড়ছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এগিয়ে চলেছে দপ্তর। অন্যান্য রাজ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হতে পারে।
কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিজের সম্মেলনে মৎস্যমন্ত্রী বলেন, “এবার আমাদের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ১৮লক্ষ মেট্রিক টন। যা আমরা পূরণ করা সম্ভব বলেই মনে করি।”
রাজ্য থেকেই প্রায় ৭০হাজার টন চিংড়ি মাছ রপ্তানি হয়। রাজ্যের আয় হয় প্রায় আট হাজার কোটি টাকা। চাষও হচ্ছে অনেক বেশী। সামুদ্রিক মাছও প্রচুর ওঠে।
মৎস্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যে লোনা জলের যে সঞ্চয় আছে, তার মাত্র ১৫ শতাংশ কাজে লাগে। দাক্ষিণাত্যের রাজ্যের তুলনায় আয়তন প্রায় ১০ গুণ হতে পারে। সেগুলিতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ হলে ও পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগালে উৎপাদন অনেক বাড়বে। এক্ষেত্রে আয় ও কর্মসংস্থানের সুযোগও রয়েছে অনেক বেশী। রাজ্য সরকার চায়, আরও বেশী মানুষ মৎস্য উৎপাদনে এগিয়ে আসুক।”
সিআইআইয়ের সম্মেলনে মৎস্য দপ্তরের প্রধান সচিব বলেন, “রাজ্য মাছের চারা ও ডিম উৎপাদনে এগোচ্ছে। এখন তা দেশের পুরো উৎপাদনের প্রায় ৪০ভাগ।”