সাম্প্রতিক খবর

সেপ্টেম্বর ১, ২০১৮

অপুষ্টি নিরাময়ে এগিয়ে বাংলা

অপুষ্টি নিরাময়ে এগিয়ে বাংলা

আজ থেকে শুরু হচ্ছে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ। গত সাত বছরে রাজ্যের অপুষ্টি নিরাময়ের লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার নিয়েছে একগুচ্ছ পদক্ষেপ।

দেখে নেওয়া যাক, উল্লেখযোগ্য কিছু সাফল্যঃ

যে শিশুরা অপুষ্টির শিকার, তাদের চিকিৎসা করতে এবং তাদের পরিবারকে পুষ্টি সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন করতে গত সাত বছরে ৫১টি পুষ্টি পুনর্বাসন কেন্দ্র (Nutritional Rehabilitation Centre) তৈরী করা হয়েছে।

আইসিডিএস প্রকল্পের অধীনে ১,১৫,৩৮৪টি আঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রের মাধ্যমে রাজ্যের ২৩ জেলায় ৬ বছর বয়সের কম ৭৬ লক্ষ শিশু, ১৪ লক্ষ গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের পৌষ্টিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

শিশুদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টিগত বিষয়ে নজর রাখার জন্য ২০১৫ সালে আইসিডিএস-এর নতুন ডিরেক্টরেট তৈরী করা হয়েছে।

৩রা জুলাই ২০১৭ থেকে চালু হয়েছে স্টেট নিউট্রিশন মিশন। শিশু ও নারীদের মধ্যে অপুষ্টি ও রক্তাল্পতার প্রবণতা হ্রাসের লক্ষ্যে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে এই মিশন।

গুরুতরভাবে অপুষ্টিত শিশুদের অতিরিক্ত পুষ্টির জোগান দিতে ২০১৫-১৬ সাল থেকে দৈনিক ৪ টাকা ব্যয়ে অতিরিক্ত পুষ্টিদায়ক খাদ্য প্রদান করা হয়েছে।

স্কীম ফর অ্যাডলসেন্ট গার্লস প্রকল্পের আওতায় ১১ থেকে ১৮ বছর বয়সী ১২.৭২ লক্ষ মেয়েদের পুষ্টিগত ও স্বাস্থ্যের উন্নতি করা হয়েছে। কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, নদীয়া, মালদা, কলকাতা ও পুরুলিয়াতে এই প্রকল্পের পাইলট প্রজেক্ট বাস্তবায়িত করা হয়।

কিশোরী শক্তি যোজনার আওতায় প্রায় ৫৪,০০০ কিশোরী মেয়েকে পুষ্টি ও স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

নারী ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তর স্টেট প্ল্যান অফ অ্যাকশন ফর চিলড্রেন ২০১৪-১৮ তৈরী করেছে পুষ্টির ওপর।

স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ দপ্তর ৫,২০০ গুরুতরভাবে অপুষ্টিত শিশুদের ও তাদের মায়েদের বিনামূল্যে একটি পুষ্টিযুক্ত প্যাকেজ প্রদান করা হয়েছে। এই প্যাকেজে থাকে ৫ কিলো চাল, ২.৫ কিলো গম, ১ কিলো মসুর ডাল এবং ১কিলো ছোলার ডাল। এই প্রকল্প শুরু হয়েছে ২০১৪-১৫ সাল থেকে।