সাম্প্রতিক খবর

অগাস্ট ২৫, ২০১৮

'সুন্দরিনী ডেয়ারি' গড়বে রাজ্য সরকার

'সুন্দরিনী ডেয়ারি' গড়বে রাজ্য সরকার

বাজারে আসছে রাজ্য সরকারের নতুন দুধের ব্র‌্যান্ড ‘‌সুন্দরিনী’। ‌ এই দুধ তৈরি হবে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। ৩০ কোটি টাকা লগ্নি হবে।

এই প্রকল্পের জন্য জয়নগর ও মধুরাপুরে জমি দেখাও হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন ২০ হাজার লিটার দুধ তৈরি হলেও পরবর্তীতে ৫০ হাজার লিটার দুধ তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের। ২০১৫ সালে সুন্দরিনীর নামকরণ করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।

এখন সুন্দরবনে চালু রয়েছে এই প্রকল্প। চালাচ্ছেন সেখানকার মহিলারা। দেশি গরুর দুধ সংগ্রহ করতে ব্যবহার করা হয় স্টেনলেস স্টিলের পাত্র। এই ব্র‌্যান্ডটির বিশেষত্ব হল এখানে কোনওরকম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় না। যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া হয়।

প্রকল্পের আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় দুগ্ধ উন্নয়ন পর্ষদের তরফে সুন্দরবন দুগ্ধ ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদক সমবায় সঙ্ঘ অনুমোদিত সংগ্রহ কেন্দ্রগুলিকে ‘‌অটোমেটিক মিল্ক কালেকশন সিস্টেম (‌এএমসিএস)’‌‌ সফটঅয়্যার দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে দুধের গুণগত মান অনুযায়ী দাম নির্ধারণ থেকে দুধ ক্রয়–বিক্রয় সংক্রান্ত সব হিসাব কম্পিউটারাইজড হয়।
সু
ন্দরবনের ৭টি ব্লকের ৬৫টি সমবায় সমিতি থেকে কাঁচামাল নিয়ে ‘‌সুন্দরিনী ন্যাচেরালস’‌ ব্র‌্যান্ডের বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি হয়। প্রকল্পের অন্য জিনিসগুলি হল, গাওয়া ঘি, মুরগি ও হাঁসের ডিম, জঙ্গলের খাঁটি মধু। হারিয়ে যাওয়া দুধসর চাল এবং মুগ ডালকে বাজারজাত করা হয় এই প্রকল্পে। রাসায়নিক বিক্রিয়ামুক্ত করতে কাচ বা স্টিলের পাত্র এবং কাগজ বা কাপড়ের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়। বিক্রির টাকা ১০ দিন অন্তর সরাসরি জমা পড়ে সমবায় মহিলাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে।

চলতি বছরে ‘‌বিশ্ব দুগ্ধ দিবস’‌ উপলক্ষে সুন্দরিনীকে সেরার শিরোপা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থা রাষ্ট্রীয় দুগ্ধ উন্নয়ন পর্ষদ। সুন্দরিনীর এই সাফল্যের জন্য রাজ্য সরকারের প্রাণিসম্পদ দপ্তরের অধীনস্থ ‘‌সুন্দরবন দুগ্ধ ও প্রাণিসম্পদ উৎপাদক সমবায় সঙ্ঘ’‌ সেরার তকমা পেয়েছে। এই প্রকল্পকে ‘‌মডেল’‌ হিসাবে গোটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ভাবনা রয়েছে রাষ্ট্রীয় দুগ্ধ উন্নয়ন পর্ষদের।

সৌজন্যে: আজকাল