অগাস্ট ২২, ২০১৮
খুলছে চাল-ডালের জন্য আলাদা মিল

“সুফল বাংলা”-র সাফল্য পেতেই নিজস্ব চাল ও ডাল-কল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের কৃষি বিপণন দপ্তর। সরকার এজন্য সাত কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। প্রথম দফায় পুজোর আগেই উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ ও নদিয়ার রানাঘাটে দুটি চাল ও ডাল-কল খোলা হবে। প্যাকেজিং এর জন্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্লাস্টিকের সঙ্গে দপ্তরের চুক্তি হয়েছে।
চালকল তৈরীর মূল লক্ষ হলো,রাজ্যে উৎপাদিত আদান ছিলপা, তুলাইপাঞ্জি,গোবিন্দভোগ,রাঁধুনি পাগল,রাধাতিলকের মতো সুগন্ধি চালের গুনগত মান রক্ষা করা। এছাড়াও বাংলায় চাষ শুরু হওয়া কিছু বিরল জাতের চালও সরাসরি সুফল বাংলা স্টল থেকে বিক্রী করতে আগ্রহী রাজ্য সরকার।
কৃষি দপ্তরের ফুলিয়া ফার্ম এর হাত ধরে সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, রায়গঞ্জে চাষ হয়েছে আদান ছিলপা চালটি। বাজারে চালু বাঁশকাঠি ,সীতা, মিনিকেট চালের চেয়ে আদান ছিলপার পুষ্টি অনেক বেশি। এটি লাল সুগন্ধি চাল হিসেবেই পরিচিত। এ ছাড়াও হুগলিতে রাঁধুনিপাগল চালের উৎপাদন দীর্ঘদিন পর শুরু হয়েছে।
এছাড়াও রাজ্যে বাড়ছে ডালের উৎপাদন। কৃষি বিপণন দপ্তরের কর্তাদের কথায়,রাজ্যে মুগ, মুসুরি, ছোলা, খেসারি ডালের চাষ বেড়েছে। যা প্রস্তাবিত রানাঘাটের ডালকলে ব্যবহার করা হবে। এরাজ্যে এখনও সংগঠিত ভাবে অড়হড় ডাল উৎপাদন হয়না। তবে বাজারে চাহিদা রয়েছে। তাই ওডিশার চাষীদের থেকে সরাসরি অড়হড় ডাল কিনে মিলে ব্যবহার করা হবে।