অগাস্ট ১৬, ২০১৮
বেসরকারি বিনিয়োগ টানতে হ্যাম মডেল

রাজ্যে নতুন রাস্তাঘাট, সেতু, উড়ালপুল তৈরির জন্য দরকার বিপুল পরিমাণ অর্থ। কিন্তু সরকারি কোষাগারের উপর বিপুল চাপ থাকায় অনেক সময় সেই অর্থের উপযুক্ত জোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে সরকার চাইলেও অনেক সময় থমকে যাচ্ছে পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ। তাই বিকল্প পথ হিসেবে বেসরকারি বিনিয়োগ টানতে রাজ্যে ‘হ্যাম’ মডেল চালু করতে চলেছে অর্থ দপ্তর। তার ‘রোডম্যাপ’ তৈরির জন্য এই মুহূর্তে জোরকদমে প্রস্তুতি চলছে নবান্নে।
কী এই হ্যাম মডেল?
হ্যামের পুরো অর্থ হল, হাইব্রিড অ্যানুয়িটি মডেল। এটা এক নতুন ধরনের বিনিয়োগের মডেল। সরকারি ক্ষেত্রে বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের টানতে এই মডেলের উদ্ভব।। ইপিসি (ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রোকিওরমেন্ট এবং কনস্ট্রাকশন) এবং বিওটি (বিল্ড, অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার) মডেলের সংমিশ্রণে এই হ্যাম মডেল তৈরি হয়েছে।
রাজ্যে যত উড়ালপুল তৈরি হয়েছে সবই ইপিসি মডেলে গড়ে উঠেছে। এখানে সরকার পুরো টাকা বিনিয়োগ করে। সরকারের হয়ে কাজটা করে কোনও বেসরকারি সংস্থা বা ঠিকাদার সংস্থা। বিওটি-র ক্ষেত্রে আবার প্রকল্পের যাবতীয় খরচ বহন করতে হয় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি সংস্থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেটির রক্ষণাবেক্ষণও করতে তাদের। রাস্তা বা সেতুতে টোলট্যাক্স আদায় করে খরচের টাকাও তুলতে হয় সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই।
সেখানে হ্যাম মডেলে প্রকল্প খরচের ৪০ শতাংশ অর্থ সরকার শুরুতেই বিনিয়োগ করবে। বাকি ৬০ শতাংশ অর্থ হয় বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা দেবেন অথবা তার কিছুটা অংশ ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নেওয়া হবে। বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা যে অর্থ বিনিয়োগ করবেন, সেটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করবে সরকার। প্রকল্পের দায়ভারও তাদের বহন করতে হবে না। সেটাও সরকারই করবে।