সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৮
লক্ষ্য ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য পুঁজি - বিএসই, এনএসইর সাথে গাঁটছড়া রাজ্যের

বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই) এবং ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (এনএসই) –এর সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধল রাজ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দপ্তর। ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি শিল্পের জন্য টাকা যোগানের লক্ষ্যে পুঁজি বাজার (ক্যাপিটাল মার্কেট) থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যেতে পারে সেই ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে এই প্রয়াস।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বিএসই-র এসএমই প্লাটফর্মে রাজ্যের ১৮টি সংস্থা নথিভুক্ত। আগামি ছয় মাসের মধ্যে আরও ১০ থেকে ১৫টি সংস্থাকে নথিভুক্ত করা হবে। এর ফলে জাতীয় স্তরে এই কোম্পানিগুলির পরিচিতি বাড়বে। এনএসই ইমার্জ – ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য এনএসইর প্লাটফর্মে রাজ্যের ৬টি সংস্থা নথিভুক্ত। এর থেকে মোট ফান্ড রেসিং হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা।
পুঁজি বাজারকে হাতিয়ার করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য টাকার যোগান বাড়ানোই লক্ষ্য রাজ্যের। এই কারণেই বিএসই, এনএসইর সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে রাজ্য সরকার।
বিভিন্ন বণিকসভা, বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, ব্যবসায়ী সমিতি এবং বিএসই-র সহায়তায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র দপ্তর কর্মশালা ও সেমিনারের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াবে। আরও অনেক সংস্থাকে বিএসই-র এসএমই প্লাটফর্মে নিয়ে আসার জন্য মেধাগত ও লোকবল সংক্রান্ত সবরকম সাহায্য করবে বিএসই। ২০২০ সালের মধ্যে এনএসই ইমার্জ প্লাটফর্মে অন্তত ১০০টি সংস্থাকে নথিভুক্ত করার লক্ষ্যে এগোবে রাজ্য।
গত সাত বছরে বাংলার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্রদত্ত ব্যাঙ্ক ঋণের পরিমাণ ছিল ১.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা। দেশের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান বাংলায় রয়েছে (২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে সংখ্যাটি ছিল ৫২.৭০ লক্ষ)। আনুমানিক ১.১ কোটি মানুষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাথে জড়িত।