সাম্প্রতিক খবর

সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮

সাজছে ডায়মন্ড হারবার

সাজছে ডায়মন্ড হারবার

কলকাতা থেকে দূরত্ব সামান্যই। ট্রেনে মেরেকেটে দু’ঘণ্টা। সড়কপথে আড়াই ঘণ্টা। পর্যটকদের জন্য চেনা ডায়মন্ড হারবারকে আরও সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ইতিমধ্যেই প্রস্তাবিত বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ হাতে নিয়েছে সেচ দপ্তর, পর্যটন দপ্তর ও পূর্ত দপ্তর৷ খরচ ধার্য হয়েছে প্রায় ২৫ কোটি। ইতিমধ্যে সাত কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। চলতি মাসেই কাজ শুরু হওয়ার কথা। ২০২০ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে জানা গিয়েছে।

ডায়মন্ড হারবার শহরের পশ্চিম দিয়ে বয়ে চলেছে হুগলি নদী। নদীর পাড় বরাবর জেটিঘাট থেকে মুক্তাঙ্গন পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটারকেই পাখির চোখ করা হয়েছে। এই এলাকাই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র৷ এখানে রাজ্যের পর্যটন ও মৎস্য দপ্তরের সাগরিকা ও গঙ্গাভবন নামে দু’টি হোটেল রয়েছে। আছে বেসরকারি একাধিক হোটেল।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, সাগরিকা ট্যুরিস্ট লজের পুব দিকে একটি বিশাল জলাশয়কে সংস্কার করে বিনোদন পার্ক বানানো হবে। পার্কে অত্যাধুনিক রেস্তোরাঁ থাকবে। পার্ক ঘিরে রকমারি আলো ও লেকের জলে বোটিংয়ের বন্দোবস্ত থাকবে৷ জেটিঘাট থেকে কেল্লার মাঠ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার হুগলি নদীর পাশ বরাবর ফুটপাথ থেকে বেশ কিছুটা ক্যান্টিলিভার বাড়িয়ে নদীর উপর ঝুলন্ত ব্যালকনি তৈরি হবে। পর্যটকদের টানতে ব্যালকনিতে রেস্তোরাঁ থেকে শৌচাগার সবই থাকবে। রকমারি গাছ ও আলোকসজ্জায় মুড়ে ফেলা হবে সেই অত্যাধুনিক ব্যালকনি৷ গঙ্গার পাড়ে মনোরম পরিবেশে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উপভোগের সবরকম বন্দোবস্তই থাকবে। তা ছাড়া মুম্বইয়ের ধাঁচে মেরিন ড্রাইভের ভাবনাচিন্তাও আছে।

সৌজন্যেঃ এই সময়