অগাস্ট ২৩, ২০১৮
বাংলার উন্নয়নের খতিয়ান এক ক্লিকেই, শীঘ্রই পোর্টাল উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যের নানা উন্নয়নের কর্মকাণ্ডকে তুলে ধরতে নতুন ওয়েব পোর্টাল তৈরি করছে নবান্ন। সেখানে জেলা থেকে শহর— সর্বত্র কী ধরনের উন্নয়ন হয়েছে, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ চিত্র তুলে ধরা হবে। আপাতত ‘ডেভেলপমেন্ট ড্যাশবোর্ড’ নামে ওই পোর্টাল তৈরির কাজ চলছে। এর জন্য একটি সফটওয়্যারও বানানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে এই পোর্টালের উদ্বোধন করবেন। তখন নতুন নামকরণ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আগামী লোকসভা ভোটকে মাথায় রেখে উন্নয়নমূলক কাজকে মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ বলে মনে করছে অভিজ্ঞমহল। উল্লেখ্য, তৃণমূল ও রাজ্য সরকারের দাবি, গত সাত বছরে বাংলার চেহারা বদলে গিয়েছে, বদলে গিয়েছে রাস্তার হাল, গ্রামীণ রাস্তায় পিচের প্রলেপ পড়েছে। তৈরি হয়েছে একাধিক উড়ালপুল, বানানো হয়েছে শিল্পতালুক – সবুজের ক্যানভাসে গড়ে উঠছে শহর। এসবই এবার মানুষ এক ঝলকে চাক্ষুষ করতে পারবে।
২০১১ সালের ২০ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাকে বদলে দেওয়ার শপথ নিয়েছিলেন। নবান্নের দাবি, কলকাতা বিমানবন্দরে পা রেখে শহরে প্রবেশ করলেই সেই পরিবর্তন অনেকটা অনুভব করা যায়। ভিআইপি রোড, ইএম বাইপাসে খানাখন্দ দেখা যায় না। গোটা রাস্তাকে এলইডি আলোয় মুড়ে দেওয়া হয়েছে। রাস্তার ধার নানাভাবে সাজানো হয়েছে। বিমানবন্দর থেকে নবান্ন পর্যন্ত গোটা রাস্তা গ্রিন জোন বলে চিহ্নিত হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে বিশ্ববাংলা সরণী। এই রাস্তার ধারে ইকো পার্ক আজ সবচেয়ে দর্শনীয় স্থান হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রথম সারির শিল্পপতিরাও বদলে যাওয়া কলকাতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। তৈরি হয়েছে মা উড়ালপুল, গার্ডেনরিচ উড়ালপুল। কাজ শেষ হওয়ার মুখে মহেশতলা উড়ালপুল ও দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াকের। তৈরি হয়েছে অন্ডাল বিমানবন্দর। পুরুলিয়ায় বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে। গত সাত বছরে গ্রামীণ এলাকায় ২৭ হাজার কিমি রাস্তা হয়েছে। ছ’লক্ষ মানুষকে বাড়ি বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্কুলছুট কমাতে ও বাল্যবিবাহ রোধ করতে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু হয়েছে। যেখানে ৫০ লক্ষ মেয়েকে কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। ৮.৬৬ কোটি মানুষকে খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। ছেলেমেয়েদের স্কুলে যাতায়াতের সুবিধার জন্য সবুজসাথী প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই ধরনের সব জনপরিষেবামূলক কর্মসূচি সহ রাজ্যের সমস্ত উন্নয়ন কাজের ছবি পোর্টালে তুলে ধরা হবে। যাতে ঘরে বসেই এক ক্লিকে সাধারণ মানুষ জানতে পারবে, বাংলায় কী কাজ চলছে। শুধু রাজ্য বা দেশ নয়, বিদেশের মানুষও পশ্চিমবঙ্গের সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের অধীনে প্রশাসনিক সংস্কার ও কর্মিবর্গ এবং ই-গভর্ন্যান্স দপ্তর এই পোর্টাল তৈরি করছে। এর জন্য প্রতিটি দপ্তরের উন্নয়নের কাজের খতিয়ান চাওয়া হয়েছে। তা সেই পোর্টালে উল্লেখ করা হবে। কয়েকমাসের মধ্যেই তা আত্মপ্রকাশ করবে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
সৌজন্যে: বর্তমান