সাম্প্রতিক খবর

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০১৮

রক্ত পরীক্ষার ল্যাবে রাখতে হবে উচ্চশিক্ষিত টেকনোলজিস্টদের

রক্ত পরীক্ষার ল্যাবে রাখতে হবে উচ্চশিক্ষিত টেকনোলজিস্টদের

রাজ্যের অলিগলিতে এখন ব্যাঙের ছাতার মতো ল্যাবরেটরি গজিয়ে উঠেছে। তাদের কারও কারও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টের উপর পুরোপুরি ভরসাও করা যায় না। এই পরিস্থিতিতে ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট (সিই) বিধিতে বদল এনে ল্যাবরেটরিগুলিতে পরীক্ষার গুণগত মান সঠিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনল রাজ্য সরকার।

২০১২ সালের সিই আইন অনুযায়ী, রাজ্যের বড়, ছোট, মাঝারি যে কোনও রক্ত পরীক্ষার ল্যাবরেটরি চালাতে গেলে চিকিৎসকদের পাশাপাশি ন্যূনতম ডিপ্লোমা বা ডিএমএলটি (ডিপ্লোমা ইন মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজি) পাশ টেকনোলজিস্ট রাখলেই হতো।

দি ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রুলস, (রেজিস্ট্রেশন, রেগুলেশন অ্যান্ড ট্রান্সপারেন্সি) ২০১৭ অনুযায়ী, মাঝারি এবং বড় ল্যাবরেটরিগুলিতে চিকিৎসকদের পাশাপাশি শুধু ডিএমএলটি পাশ টেকনোলজিস্ট রাখলেই চলবে না। বিএসসি থেকে শুরু করে এই পেশায় এমএসসি পর্যন্ত শিক্ষিত লোকজন রেখে ল্যাবরেটরি চালাতে হবে।

উল্লেখযোগ্যভাবে এই প্রথমবার বিএসসি এবং এমএসসি ইন বায়োমেডিক্যাল ল্যাবরেটরি সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট শিক্ষিতদের দিয়ে ল্যাবরেটরি চালানোয় গুরুত্ব দিল সরকার। সম্প্রতি ওই বিধি সরকার প্রকাশ করায় এই বিষয়টি সামনে এসেছে।

নতুন বিধি অনুযায়ী, মাঝারি মাপের রক্ত পরীক্ষার ল্যাবরেটরিতে এরপর থেকে ডিএমএলটি’র পাশাপাশি মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিতে বিএসসি পাশ ছাত্রছাত্রীদের রাখতে হবে। অথবা দু’বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করা পিজিডিএমএলটি বা সমতুল ডিগ্রিধারীদের রাখতে হবে।

বড় ল্যাবরেটরিগুলির ক্ষেত্রে আরও কড়াকড়ি করল সরকার। রক্ত পরীক্ষার গুণগত মান বজায় রাখতে তথা কোয়ালিটি কন্ট্রোল এবং ল্যাবরেটরি সংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় আরও বিজ্ঞানসম্মত এবং নিখুঁতভাবে পরিচালনা করার জন্য সেখানে মাঝারি মাপের ল্যাবরেটরিগুলির ন্যূনতম লোকবল তো রাখতেই হবে, পাশাপাশি মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি টেকনোলজিতে এমএসসি পযমর্যাদার টেকনোলজিস্টদের রাখতে হবে। অথবা এমএসসি ইন বায়োমেডিক্যাল ল্যাবরেটরি সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বা সমতুল্য ডিগ্রিধারীদের রাখতে হবে।

প্রসঙ্গত, যে কোনও আধুনিক ল্যাবরেটরিতে চিকিৎসক এবং টেকনোলজিস্টদের সমান গুরুত্ব। রক্ত পরীক্ষা ও সেই সংক্রান্ত দৈনন্দিন কাজের একটি বড় অংশই করেন ল্যাবরেটরি টেকনোলজিস্টরা। লক্ষ-কোটি টাকার আধুনিক মেশিনপত্র তাঁরাই চালান। অন্যদিকে, সুপারভিশন বা ল্যাবরেটরি সংক্রান্ত কাজে নজরদারির কাজ করেন মূলত চিকিৎসকরা। তাঁরা রিপোর্ট দেখেন, সই করেন। এছাড়াও যে কোনও পরীক্ষা শুরুর আগে কন্ট্রোল চালানো হয় তাঁদের তত্ত্বাবধানে।