সাম্প্রতিক খবর

ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৯

অর্থবর্ষের শুরুতে কৃষকবীমার পুরো টাকা দেবে রাজ্য সরকার

অর্থবর্ষের শুরুতে কৃষকবীমার পুরো টাকা দেবে রাজ্য সরকার

আগামী অর্থবর্ষের শুরু থেকেই রাজ্যের কৃষকদের কৃষি বীমার পুরো তাকাই দেবে রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের টাকার বদলে সম্পূর্ণ টাকাই দেবে রাজ্য সরকার। এই নিয়ে খুব শীঘ্রই মন্ত্রীসভার বৈঠক হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমটা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কৃষি বীমা সংক্রান্ত প্রস্তাব তৈরী করা হয়েছে। কীভাবে বীমার খরচ মেটানো হবে, সে ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। কৃষি দপ্তর এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ফেলেছে। বীমা সংস্থাগুলির সঙ্গেও এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাধারন বীমার থেকেও বেশী সুযোগ যাতে পেতে পারবেন রাজ্যের কৃষকরা।

মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন ধরেই কৃষক বীমার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যবহার নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন। রাজ্য সরকার কৃষি বীমার ৮০ শতাংশ দিলেও কেন্দ্র প্রধানমন্ত্রীর নাম দিয়ে প্রচার করছে। বাংলার সরকার ‘বাংলা ফসল বীমা যোজনা’ চালু করেছে। কেন্দ্রের প্রকল্পের নাম নিয়ে প্রতিবাদ করে বহুবার প্রতিবাদ করে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার।

কৃষকদের মধ্যে এই নিয়ে জোর দেওয়া হবে। কৃষকরা আবেদন করলেই বীমার সুযোগ পাবেন। মূলত, কৃষকরা যে কারণগুলিতে বীমার সুযোগ পান, সেগুলি থাকছেই। পরিধি যাতে আরও বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আবহাওয়ার কারণে ফসল উৎপাদন কম হলে বা আগুনে, বজ্রপাতে, ঝঞ্ঝায়, ঝড়, সাইক্লোন, টাইফুন, টর্নেডো, শিলাবৃষ্টি, বন্যা, প্লাবন, ভুমিস্খলন, খরা, পোকামাকড় ও ফসলের অসুখে উৎপাদন কম হলে বীমার সুবিধা নিতে পারবেন কৃষকরা। খারিফ, রবি ও ব্যাবসায়িক হর্টিকালচার বা বাণিজ্যিক ফসলের জন্য টোকেন খরচ যা সর্বনিম্ন দিতে হতে পারে কৃষকদের।

এ রাজ্যে মাথাপিছু কৃষিজমির পরিমাণ খুব কম। জমি ছোট হওয়ার কারণে মাথাপিছু ঋণের পরিমাণও বেশ কম। কৃষকদের ফসলের ন্যায্য দাম ও ক্ষতির মুখে বীমার টাকা দিয়ে কৃষকদের পাশে থাকচে চায় রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত, বন্যা ও খরায় ক্ষতিগ্রস্থ ৩০ লক্ষ কৃষককে ১২০০ কোটি টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। কৃষিজমির খাজনা মুকুব করা হয়েছে। নেওয়া হয় না মিউটেশন ফি। এছাড়া শুরু হয়েছে কৃষক বন্ধু প্রকল্প।

 

সৌজন্যেঃ আজকাল