সাম্প্রতিক খবর

সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৮

রুগ্ন সেতু নিয়ন্ত্রণে তত্পর রাজ্য

রুগ্ন সেতু নিয়ন্ত্রণে তত্পর রাজ্য

রাজ্যে মোট ২০টি ব্রিজের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। অবিলম্বে ব্যবস্থা না নিলে সেই সেতুগুলিতেও মাঝেরহাট বা পোস্তার মতো বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। এই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুর্বল ব্রিজের তালিকায় রয়েছে উল্টোডাঙা, ঢাকুরিয়া, বেলগাছিয়া, সাঁতরাগাছি সেতুর মতো অতি ব্যস্ত সেতুও।

মাঝেরহাট সেতু বিপর্যয়ের কারণ জানতে বিশেষ কমিটি গঠন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে এই কমিটি সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেবে। রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত মেট্রো রেলের কাজ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মাঝেরহাট উড়ালপুল বিপর্যয়ের পেছনে কারোর গাফিলতি প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

এ ছাড়া রাজ্যের অন্যান্য সেতুগুলির অবস্থা খতিয়ে দেখতে বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করেছেন তিনি। ব্রিজগুলির স্বাস্থ্যরক্ষার খাতিতে ২০ চাকার ভারী গাড়ি বন্ধ করা হল বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশেষ করে সাঁতরাগাছি সেতুতে ছোট যানবাহন চলাচল করলেও ভারী গাড়ি উঠতে দেওয়া হবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

‘মেট্রোর কাজ যখন শুরু হয়েছিল আমি রেলমন্ত্রী ছিলাম। ৯ বছর ধরে কাজ চলছে। আমি সব জানি। সবাই এখন অভিযোগ করছে মাটির পাইলিং-এর জন্য কম্পন হচ্ছে। আমি বলছি না যে এর জন্যই ব্রিজ ভেঙে পড়েছে। তবে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে কমিটি তা খতিয়ে দেখবে, তার পরেই যা বলার বলা যাবে,’’ বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

একই সঙ্গে বিভিন্ন ব্রিজে ২০ চাকার ভারী লরি, ট্রাক, কন্টেনার চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশ যথাযথ সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করবে।

মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে জানান, সাঁতরাগাছি ও উলটোডাঙা ব্রিজও দুর্বল। সেখানেও ভারী লরি চলাচল করবে না।

শিয়ালদহ ব্রিজ মেরামতির সময় সেখানকার ব্রিজের তলার দোকানদারদের থেকে বাধা এসেছিল বলেও এদিন অভিযোগ ওঠে।

পোস্তা ব্রিজ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান যে আইআইটির অধ্যাপকেরাও নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি যে ব্রিজটি পুরো ভেঙে ফেলা হোক নাকি সেটি অন্য ভাবে ব্যবহার করা হবে।