সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ৯, ২০১৯

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানে বাংলা এগিয়ে বহু রাজ্যের থেকেই, বলছে আর্থিক সমীক্ষা

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থানে বাংলা এগিয়ে বহু রাজ্যের থেকেই, বলছে আর্থিক সমীক্ষা

অন্য একাধিক রাজ্যের থেকে এগিয়ে বাংলা। সংসদে পেশ হওয়া কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থনৈতিক সমীক্ষায় এই তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। কর্মহীনতার হার বাংলায় মোট ৪.৬ শতাংশ। এর মধ্যে গ্রামীণ বেকারত্ব ৩.৮ শতাংশ। শহরে বেকারত্ব ৬.৪ শতাংশ। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের শাসনকালে গ্রামীণ বাংলার অর্থনীতি ও কর্মসংস্থান শহরের তুলনায় বেড়েছে অনেকটাই। ধান উৎপাদনে বাংলা গোটা দেশে এক নম্বর স্থানে।

সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, সর্বাধিক ধান উৎপাদনকারী তিনটি রাজ্য হল বাংলা, পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশ। কিন্তু বাকি দুই উত্তর ভারতের রাজ্যকে পিছনে ফেলে বাংলার কৃষকদের উৎপাদিত ধানের পরিমাণ সর্বোচ্চ। ২০১৭-আর্থিক বছরের এই হিসেবে প্রায় ১৫ কোটি টন ধান উৎপাদন করেছে বাংলা। একইভাবে পাট উৎপাদনেও পশ্চিমবঙ্গ এক নম্বরে। বাংলার মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধির হার ১৬ শতাংশ। যা অন্য বহু রাজ্যকে ছাপিয়ে গিয়েছে।

কেন্দ্রীয় সরকারের পেশ করা সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাত, ছত্তিশগড়, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যের তুলনায় বাংলার একাধিক ক্ষেত্রের উন্নতির পরিসংখ্যান যথেষ্ট উজ্জ্বল। সমীক্ষার একটি অনুচ্ছেদে জাতীয় অর্থনীতিতে মহিলাদের যোগদান, গ্রামগঞ্জে, পরিবারের অর্থনীতির উন্নয়ন তথা সিদ্ধান্তগ্রহণ, কর্তৃত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রের অগ্রগামী রাজ্যগুলিকে বিশেষ সাধুবাদ দেওয়া হয়েছে। আর সেই তালিকায় প্রথম সারিতেই বাংলা। বিভিন্ন প্রকল্প ও আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে গৃহবধূদের যোগদান অর্থনীতিকে শক্তিশালী করেছে। রাজ্য এই ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ কাজ করেছে।

সমীক্ষায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনকে। কেন্দ্রীয় আইআইপিএস সমীক্ষক সংস্থার রিপোর্ট উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, যে রাজ্যগুলিতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১ শতাংশের নীচে নেমে গিয়েছে তার মধ্যে অগ্রগণ্য বাংলা। পূর্বাভাস হিসাবে বলা হয়েছে, বাংলায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০১১ থেকে ২০২১ সালের ১০ বছরে হবে ০.৭৪ শতাংশ। পরবর্তী ১০ বছরে অর্থাৎ ২০২১ থেকে ২০৩১ সালে হবে ০.৫০ শতাংশ। আর ২০৩১ থেকে ২০৪১ এই ১০ বছরে হতে চলেছে ০.১৪ শতাংশ। ২০৪১ সালে পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা ১০ কোটি ২০ লক্ষ হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি একইসঙ্গে স্কুলশিক্ষার হার, স্কুলে তথা শ্রেণিকক্ষে পড়ুয়া ও শিক্ষকশিক্ষিকার অনুপাত, স্কুলছুট ইত্যাদি নিরিখে বাংলা সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে। গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণেও প্রথম ১০টি রাজ্যের মধ্যে বাংলা উপরের সারিতে বিদ্যমান।

সৌজন্যেঃ বর্তমান