সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ২১, ২০১৯

ইভিএম নয় ব্যালট ফেরাওঃ ২১এর মঞ্চ থেকে দাবী তৃণমূল নেতৃবৃন্দের

ইভিএম নয় ব্যালট ফেরাওঃ ২১এর মঞ্চ থেকে দাবী তৃণমূল নেতৃবৃন্দের

২১শে জুলাইয়ের শহীদ মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা কেন্দ্রীয় সরকার থেকে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করার ডাক দেন।

 কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতৃবৃন্দের বক্তব্য দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকেঃ

 সুব্রত বক্সীঃআমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে কায়দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের ভীত ধরে ভারতবর্ষের মানুষ সচিত্র পরিচয়পত্র পেয়েছে, আমরা শত সহস্র সহকর্মী তার পায়ে পায়ে হেঁটে শরীরগত রক্ত, ঘাম, পরিশ্রম দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বকে সামনে রেখে ভারতবর্ষের সরকার তথা নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা ব্যালট ছিনিয়ে আনতে পারব। সভায় আগত সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের এই ঐতিহাসিক সমাবেশের সূচনা করছি।

 সুকুমার হাসদাঃমমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে আজ জঙ্গলমহল সহ সারা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ উপকৃত হয়েছি। আমরা সবসময় তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে আছি। আমরা জঙ্গলমহলে সমস্ত মানুষদের কাছে আমরা অনবরত উন্নয়ন পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি এবং করে যাচ্ছি। আমরা জঙ্গলমহল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে ছিলাম,আছি, থাকবো। সবাই কে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।

ফিরহাদ হাকিমঃবাংলার স্বাধীন হওয়ার সাথে সাথে ভারত পরাধীন হতে চলেছে। ভারত বিক্রী হয়ে যাচ্ছে। আচ্ছে দিন আর আসবে না। কারন ভারতের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়েছে। আজকে বাংলার কৃষ্টি রক্ষা করতে আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে হাত রেখে বলি, আমরা তোমার সাথে আছি।

 শিউলি সাহাঃতপশিলী জাতি উপজাতিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার আসার পর তাদের অধিকার ফিরে পেয়েছে। বাংলার সরকার ভারতবর্ষের এসসি এসটি কমিটি করেছে। বাংলার সরকার সবসময় মানুষের পাশে আছে। সেখানে ভরত গোয়েলকে পিটিয়ে হত্যা করা হয় সে দলিত বলে।

 অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়:১৯৯৩এ ছিল, No Identity Card, No Vote। ২০১৯এ আমাদের বক্তব্য, গণতন্ত্র ফিরিয়ে দাও, মেশিন নয় ব্যালট ফেরাও। অনেকে ভেবেছিল এই সভায় মানুষের ভাটা পড়বে, কিন্তু যতদূর পর্যন্ত দেখা যায় লক্ষ্য করুন,  দেখবেন শুধু মানুষই মানুষ। ২০২১এর ভোটে বাংলা থেকে ২৫০টি আসন পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃতীয় সরকার গড়ব। বাংলা থেকে সিপিআইএমকে উৎখাত করেছিলাম, এবার বিজেপিকেও করবো। তৈরী থাকুন এই লড়াইয়ের শেষ তৃণমূল দেখিয়ে ছাড়বে।

শুভেন্দু অধিকারীঃপশ্চিমবঙ্গে যে সংস্কৃতিকে আনার চেষ্টা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে লড়তে হবে। তৃণমূল কর্মীরা চ্যালেঞ্জ নিয়ে উন্নয়নের কর্ম যজ্ঞে আবার ফিরে যাক এটাই চাই। বিজেপির নেতারা বাংলার সংস্কৃতি জানেনা। জানলে ২০১৮ সালে কালির মূর্তি দেখিয়ে বলত না জয় মা দুর্গা, রবিঠাকুরের জন্মস্থান সম্পর্কে বলত না বীরভূমে রবিঠাকুরের জন্ম হয়েছে। বিদ্যাসাগরে মূর্তি মূর্তি ভাঙত না। যেখানে যেখানে ব্যালট এ ভোট হয়েছে, সেখানেই বিজেপি হেরেছে। তাই ইভিএম নয় ব্যালট চাই।