সাম্প্রতিক খবর

ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯

মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে এবার কলকাতাতেও চলবে ই-বাস

মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে এবার কলকাতাতেও চলবে ই-বাস

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদা যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি গুরুত্ব দেন পরিবেশ রক্ষার ওপর। আজ নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ২০টি ইলেক্ট্রিক বাস, দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ২০টি পরিবেশ বান্ধব সিএনজি বাস এবং গতিধারা প্রকল্পের অন্তর্গত মহিলা চালিত বিশেষ ট্যাক্সি সার্ভিস বা ‘পিঙ্ক ক্যাব’ পরিষেবার উদ্বোধন করলেন। এর পাশাপাশি নতুন রূপে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ডেরও উদ্বোধন করেন তিনি।

নিউটাউনে খুব জনপ্রিয় হয়েছে ই-বাস পরিষেবা। এতটাই জনপ্রিয় যে এই পরিষেবা শুরু হওয়ার এক মাসের মধ্যেই জুন মাসে ১০ হাজার মানুষকে পরিষেবা দিয়েছিল এই বাস। তারপরেই এই বাসের সংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে ১০ করা হয়। এই বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে অদূর ভবিষ্যতে।

২০১৯ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নিউটাউনের ই-বাসে চড়েছেন ১ লক্ষেরও বেশী মানুষ। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৩৩০ জন মানুষ এই বাসে চড়েন। ৩২ আসন বিশিষ্ট বাসগুলি তিনটি রুটে দুই শিফটে চলে। এই রুটের মোট দুরত্ব ১৬ কিলোমিটার, যেতে সময় লাগে ৪০ মিনিট। এজন্য নিউ টাউনে ১০টি চারজিং পয়েন্ট খোলা হয়েছে। যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে টিকিট মূল্য রাখা হয়েছে ১০ টাকা।

এবার কলকাতাতেও ই-বাস পরিষেবা চালু হল। এই পাইলট প্রকল্প শুরু করা হল ২০ট বাস দিয়ে। পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে মোট৮০টি বাস চালানো। হবে তবে ধাপে ধাপে বাসের সংখ্যা বাড়ানো হবে। পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম এই বাসগুলি চালাবে।

মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের কিছু অংশ:

পিঙ্ক ট্যাক্সি চালিকদের অভিনন্দন। এখন থেকে ওনারাই নিজেদের গাড়ির মালিক এবং ওনারাই গাড়ি চালাবেন।

পিঙ্ক ট্যাক্সির সংখ্যা আগামী দিনে ১ হাজার করা হবে। ই-বাসও আগামী দিনে অনেক চালু হবে।
এটা কলকাতাকে নতুন উপহার। এই বছরেই ইলেকট্রিক বাসের সংখ্যা বাড়িয়ে ৮০ করা হবে। ৫৫টা চার্জিং কেন্দ্রও খোলা হয়েছে। সেখানে প্রাইভেট পার্টিরাও চার্জ করতে পারবে।

যাদবপুরের ৮বি বাসস্ট্যান্ডের মত আরও অনেক বাস স্ট্যান্ডকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। এতে যাদবপুরের মানুষের সুবিধা হবে। আগে ওখানে খুব যানজট হত। বিভিন্ন জায়গায় – যেমন, জোকা, বালিহল্ট, নৈহাটি – নতুন বাসস্ট্যান্ডও তৈরী হচ্ছে।

গতিধারা প্রকল্প, জলধারা প্রকল্পে আমরা রাজ্য সরকারের তরফ থেকে টাকা দিচ্ছি বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থানের জন্য। এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার বেকারকে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে।

আমরাই প্রথম ইলেকট্রিক বাস চালু করলাম। এই বাসের ভাড়া সাধারন বাস ভাড়ার মতই।

এখন তিনটি রুট চালু হল, এয়ারপোর্ট থেকে জোকা, শ্যামবাজার থেকে নবান্ন এবং টালিগঞ্জ থেকে বিধাননগর। এর পর আরও রুট চালু হবে।