সাম্প্রতিক খবর

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০১৮

জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তরের কাজের খতিয়ান

জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তরের কাজের খতিয়ান

২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস সরকার রাজ্যের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে, হাতে নিয়েছে প্রতি দপ্তরের জন্য অনেক প্রকল্প।

অন্য দপ্তরের মতো জলসম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তরের উন্নয়নেও জোর দেওয়া হয়েছে।

উন্নয়নের কাজের জন্য যেসব ক্ষেত্রগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল:-

 

  • সারা রাজ্য জুড়ে ছোট ছোট সেচ ব্যবস্থার স্থাপন, কাজ, রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপুনার ফলে রাজ্যের সমস্ত প্রান্তিক ছোট ও মাঝারি কৃষকদের সেচে নিশ্চিত সাহায্য করা
  • জলতীর্থ প্রকল্পের অধীনে ছোট ছোট সেচ প্রকল্প স্থাপন করে বীরভূম, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের মত শুষ্ক অঞ্চলগুলির আরও বেশী অঞ্চলে সেচ করতে সাহায্য করা, যার ফলে বাড়বে কৃষিজ উৎপাদন।
  • জলতীর্থ প্রকল্প উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণার সুন্দরবন অঞ্চলেও চালু করা হবে। ওখানকার নোনা জলের প্রভাব কমাতে বৃষ্টির জল ধরে চাষ করা হবে। এছাড়া উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং ও কালিম্পং-এও জলতীর্থ প্রকল্প শুরু করা হবে আগামী দিনে
  • ১০০ দিনের কাজের অধীনে সমস্ত জলাশয়ে বৃষ্টির জল ধরে তা দিয়ে চাষের কাজ, মানে জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের আরও বিস্তার।
  • আরএলআই বাস্তবায়ন, ডব্লিউএইচটি, চেক ড্যাম, এসএফএমআইএস নির্মাণ, এসএফএমআইএস গুলির পুনরুজ্জীবন করে ভূপৃষ্ঠস্থ জলের ব্যবহার সেচের কাজে
    কম্যান্ড এরিয়া ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে সেচ সম্ভাব্য তৈরি ও সেচের সম্ভাব্য ব্যবহারের মধ্যে ফাঁক কমানো।
  • ওয়েস্ট বেঙ্গল গ্রাউন্ড ওয়াটার রিসোর্সেস (ম্যানেজমেন্ট, কন্ট্রোল অ্যান্ড রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ২০০৫ মেনে উপযুক্ত ভাবে ভূপৃষ্ঠস্থ জলের ব্যবহার।
  • রাজ্যের শুষ্ক অঞ্চলগুলিতে ও কিছু ব্লকে বৃষ্টির ধরা জল মাটির নীচে পাইপের মাধ্যমে ঢোকানো হবে যেখানে চাষের উন্নয়ন সংকটময়।
  • ছোট সেচ প্রকল্প, যেমন স্প্রিঙ্কলার, ড্রিপ, হাইড্রামের স্থাপন ও ব্যবহার যার ফলে কৃষি উৎপাদনে জলের সঠিক ব্যবহার বাড়ানো। এ ছাড়াও, কিছু জেলায় বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায়, সৌরশক্তি চালিত বিভিন্ন ছোট সেচ প্রকল্পের স্থাপন।