অগাস্ট ২৯, ২০১৮
ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের ক্রীড়া শাখার সাফল্য

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের ক্রীড়া শাখা গত সাত বছরে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
কিছু প্রাথমিক সাফল্য তুলে ধরা হলঃ
ফিফা অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপঃ এই দপ্তরের সবথেকে উল্লেখযোগ্য সাফল্য হল ফিফা অনূর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপের ১১টি ম্যাচ সফলভাবে আয়োজন করা।
খেলার পরিকাঠামোঃ ২০১১ সালের মে মাস থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে খেলা সংক্রান্ত পরিকাঠামো উন্নয়নে।
খেলাশ্রী প্রকল্পঃ ক্লাব, সংস্থা ও বিভিন্ন ক্রীড়া সংগঠনকে প্রথম বছর ২ লক্ষ টাকা এবং পরের প্রতি বছর ১ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয় খেলাশ্রী প্রকল্পে।
পুরস্কারঃ
খেল সম্মানঃ বর্তমানের সফল ক্রীড়াবিদদের ৫০০০০ টাকা, শংসাপত্র এবং ট্রফি প্রদান করা হয়।
বাংলার গৌরবঃ পুরনো দিনের সফল ক্রীড়াবিদদের ১০০০০০ টাকা, শংসাপত্র এবং ট্রফি প্রদান করা হয়।
ক্রীড়া গুরুঃ নামজাদা কোচদের ১০০০০০ টাকা, শংসাপত্র এবং ট্রফি প্রদান করা হয়।
লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কারঃ বাংলার স্বনামধন্য এবং বিশ্ববন্দিত খেলোয়াড়দের ৫০০০০০ টাকা, শংসাপত্র এবং ট্রফি প্রদান করা হয়।২০১৩-১৪ সাল থেকে ২০১৭-১৮ সাল পর্যন্ত ১০০টি খেল সম্মান, ১২৭টি বাংলার গৌরব পুরস্কার, ৩৫টি ক্রীড়া গুরু পুরস্কার। ১০টি লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট পুরস্কার ও ১৯টি বিশেষ সম্মান পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
খড়দহে বেঙ্গল ফুটবল আকাদেমিঃ দেশের মধ্যে এরম আকাদেমি এই প্রথম, এর উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর উদ্বোধন হয় ২০১৩ সালের ২৮সে সেপ্টেম্বর। এই আকাদেমি অখিল ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের অনুমোদিত। অনূর্ধ্ব ১৯ যুব লিগেও অংশ নেয় এবং ৪০ জন শিক্ষার্থী আছে এখানে।
ঝাড়গ্রামে তিরন্দাজি আকাদেমিঃ রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে নির্বাচিত ৩২ জন তিরন্দাজি শিক্ষার্থীর জন্য আবাসিক আকাদেমি।
খাটরা ক্রীড়া আকাদেমিঃ খাটরাতে তিরমিত এই আকাদেমিটি শীঘ্রই চালু হবে।
বিধান নগরের বেঙ্গল টেনিস আকাদেমিঃ স্বামী বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন প্রাঙ্গনের এই আকাদেমিতে ৫০জন শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
হকি ও সাঁতার আকাদেমিঃ বিধান নগরে রাজ্য হকি আকাদেমি ও সুভাষ সরোবরে সাঁতার আকাদেমি খুব শীঘ্রই চালু হতে চলেছে।
অনাবাসিক কোচিং ক্যাম্পঃ অনগ্রসর শ্রেণীর শিশু প্রতিভাদের দক্ষতা বাড়াতে মহকুমাতে অনাবাসিক কোচিং ক্যাম্প খোলা হয়েছে ফুটবল, কাবাডি, খোখো, ভলিবলের ও বাস্কেটবলের ওপর।
সুন্দরবন, দার্জিলিং-তেরাই-ডুয়ার্সে ক্রীড়া প্রতিযোগিতাঃ এই অঞ্চলের মানুষদের মূল স্রোতে আনতে সুন্দরবন, দার্জিলিং-তেরাই-ডুয়ার্সে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
জাতীয় স্তরে পদক প্রাপকদের আর্থিক পুরস্কারঃ জাতীয় স্তরে পদক প্রাপকদের এই প্রথমবার আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। ৬জন স্বর্ণপদক প্রাপকদের ৫ লক্ষ টাকা করে, ১২জন রৌপ্যপদক প্রাপকদের ৩লক্ষ টাকা করে এবং ৩০জন ব্রোঞ্জ পদক প্রাপকদের ২লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
নতুন ক্রীড়া নীতিঃ ২০১৫ সালে নতুন ক্রীড়া নীতি রাজ্য মন্ত্রীসভায় গৃহীত হয় এবং প্রকাশ করা হয়।
স্টেডিয়াম কমিটিঃ স্টেডিয়ামগুলির সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য প্রচুর স্তেডিয়াম কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ক্রীড়া কাউন্সিলদের আর্থিক সাহায্যঃ স্পোর্টস ইভেন্ট, কোচিং ক্যাম্প করার জন্য ২০১১ সালের মে মাস থেকে জেলা ক্রীড়া কাউন্সিল ও মহকুমা ক্রীড়া কাউন্সিলদের আর্থিক সহায়তা করা হয়।
নতুন ক্রীড়া প্রতিভাকে আর্থিক সাহায্যঃ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ করার জন্য নতুন প্রতিভাদের আর্থিক সহায়তা করা হয়।