Latest News

February 17, 2014

`হজ হাউসে`র দ্বিতীয় অফিস হতে চলেছে শিলিগুড়িতে

`হজ হাউসে`র দ্বিতীয় অফিস হতে চলেছে শিলিগুড়িতে

কলকাতার পর `হজ হাউসে`র দ্বিতীয় অফিস হতে চলেছে শিলিগুড়িতে। তা হলে উত্তরবঙ্গে বসেই হজ যাত্রার সমস্ত আয়োজন সেরে ফেলতে পারবেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। তাঁদের আর কলকাতায় যেতে হবে না। বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি মিলেছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা দফতরের প্রতিমন্ত্রী গিয়াসুদ্দিন মোল্লা। চলতি সপ্তাহে শিলিগুড়িতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দিতে এসে সংখ্যালঘু ও মাদ্রাসা প্রতিমন্ত্রী বলেন, `উত্তরবঙ্গে হজ হাউসের দাবি ছিল দীর্ঘদিনের। শীঘ্রই শিলিগুড়িতে হজ হাউসের দ্বিতীয় ভবনের কাজ শুরু হবে। আমি নতুন ভবনের জায়গা খোঁজার জন্য বলা হয়েছে।`

মন্ত্রী জানান, আপাতত উত্তরকন্যায় সংখ্যালঘু এবং মাদ্রাসা দফতর থেকেই কাজ চলবে। হজ হাউসের উত্তরবঙ্গ শাখার জন্য জমি খোঁজার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথ ভট্টাচার্য ও দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি অলক চক্রবর্তীকে। সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এই কাজের জন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্য সংখ্যালঘু সেলের সাধারণ সম্পাদক তথা দার্জিলিং জেলা তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান নাসির আহমেদ। তিনি বলেন, `এই অঞ্চলে বাম আমল থেকেই হজ হাউসের একটি শাখা চাইছিলাম। কিছু হয়নি। হজ হাউসের শাখা শিলিগুড়িতে হলে আরও বেশি মানুষ হজে যেতে পারবেন।`

এ দিকে জমি চিহ্নিতকরণের কাজের দায়িত্ব পেয়ে খুশি শিলিগুড়ির বিধায়ক রুদ্রনাথবাবুও। তিনি বলেন, `আমরা জমি দেখার কাজ শুরু করে দিয়েছি। জমি পেলেই সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাব।` প্রশাসনিক সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬ হাজার লোক হজ করতে মক্কায় যান। হজের জন্য এতদিন কলকাতার পার্ক সার্কাসের হজ হাউস থেকেই গোটা রাজ্যের হজ যাত্রীদের সমস্ত ব্যবস্থা করতে হত। প্রতিটি যাত্রীকে প্রয়োজনীয় অর্থ জমা দিতে হয়। তার বদলে যাত্রীদের সমস্ত নিরাপত্তা এবং যাতায়াতের সমস্ত দায়িত্ব নেয় হজ কমিটি। প্রতিটি রাজ্যেই একটি করে হজ হাউস থাকে। শিলিগুড়িতে দফতর খোলা হবে তা এ রাজ্যের দ্বিতীয় হজ হবে। একবার হজে যেতে হলে যে সমস্ত প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে একজন যেতে হয়, তার জন্য ৩০-৪০ বার হজ হাউসে যেতে হয়।