সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮
ডিজিটাল কনক্লেভের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা - দেখে নিন এক ঝলকে

আজ নজরুল মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া সেলের তরফে একটি ডিজিটাল মিডিয়া কলকলেভের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রধান বক্তা ছিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এছাড়াও, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী, সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারও বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন কর্ণেল দীপতাংশু চৌধুরী এবং সুপর্ণ মৈত্র।
ফোনে শুভেচ্ছাবার্তা ও দিকনির্দেশ দেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডিজিটাল কনক্লেভে অভিষেকের বক্তব্যের কিছু অংশ:
- আজকের দিনটি ঐতিহাসিক দিন। সকলে খুব উৎকণ্ঠায় ছিল আজকে এই ডিজিটাল কনক্লেভ হবে কি না, কারণ কয়েকটি দল আজ ভারত বনধ ডেকেছে। কিন্তু আজ সারা বাংলা থেকে আমাদের সক্রিয় কর্মীরা এসেছে আজ এই কনক্লেভ। এই কনক্লেভের পর একটি মহামিছিল করব জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির ইস্যুতে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন বাংলায় এখন আর বনধ হয় না। এই বনধ আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে নষ্ট করেছে। বনধ এর কারণে সিপিএম আমলে প্রায় ৮০ লক্ষের বেশি কর্মদিবস নষ্ট হয়েছে। আমাদের আমলে এই সংখ্যাটা কমে হয়েছে শূন্য। আমাদের বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
- আমাদের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। আগামীদিনে নেতাজি ইনডোরে আমরা আরও বড় কনক্লেভের আয়োজন করব যেখানে বাংলার প্রতিটি প্রান্ত থেকে মানুষ আসতে পারবেন। সেখানে আমরা মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে গাইডলাইন দেওয়ার জন্য আসতে অনুরোধ জানাবো।
- আমাদের সকলকে মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকা ভালো কিন্তু সেটা তথ্য ও পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে। নিজেদের বড় ছোট দেখতে গিয়ে দলকে ছোট করবেন না।
- কোন কর্মী কোথায় বসে কি লিখছে, কে কেমন কাজ করছে – ভালো না খারাপ তা মুখ্যমন্ত্রী নিজে তা প্রতিনিয়ত মনিটরিং করেন।
- বিজেপি, সিপিএম কংগ্রেস এখন এক হয়ে গেছে, ওদের কোন রাজনৈতিক নীতি বা আদর্শ নেই. কিন্তু তৃণমূল কারো সাথে কোনও কম্প্রোমাইজ করে না।
- কিছু দালালরা চায় বাংলার উন্নয়নকে স্থগিত করে বাংলার কালো দিন, রক্তের দিন ফিরিয়ে আনতে। আমরা তাদের ওপর আর নির্ভর করি না, আমরা কোন সংবাদমাধ্যম বা সংবাদপত্রিকার ওপর নির্ভরশীল নই। আমরা আমাদের কর্মীদের ওপর নির্ভরশীল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় যেসব উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু হয়েছে তার প্রচার করা আমাদের সকলের দায়িত্ব।
- কোনও দাদা জিন্দাবাদ নয়। শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিন্দাবাদ, তৃণমূল জিন্দাবাদ, মা মাটি মানুষ জিন্দাবাদ।
- ২০১৯ এর নির্বাচনের লড়াইটা হবে মানবিক সরকার বনাম দানবিক সরকার। ওরা যদি বলে বাবরি, আমরা বলব চাকরি। ওরা যদি বলে জাত, আমরা বলব ভাত। ওরা যদি বলে দাঙ্গা, আমরা বাংলাকে করব চাঙ্গা।
- আজকাল যে কোনও ইস্যুতে রাজনীতি করতে ছাড়েনা বিরোধীরা। একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। আপনাদের রাজনীতিটা আর তিন চারদিন না করলে হত না? একটুও মানবিকতা নেই?
- ২০১৬ সালে পোস্তা উড়ালপুল কাণ্ডের পর মোদী বলেছিলেন “Act of God”। আর যখন ওদের প্যান্ডেল ভেঙে পড়লো তখন আমাদের নেত্রী হাসপাতালে গেলেন ওদের আহত কর্মীদের দেখতে। এটাই ওদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য।
- আজ সকালেও ২২ পয়সা দাম বেড়েছে পেট্রোলের, পেট্রোল প্রায় ৮৫ টাকা প্রতি লিটার, ডিজেল প্রায় ৭৪ টাকা প্রতি লিটার, আর ডলার ৭৪ – তিনটের মধ্যে প্রতিযোগিতা হচ্ছে যে কে আগে সেঞ্চুরি করবে। এটাই এখন ভারতবর্ষের পরিস্থিতি।
- কিছু হলেই হিন্দু-মুসলমান, সাম্প্রদায়িক কথাবার্তা বলছে। পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে, ডলারের দাম এতো, কেন দৈনন্দিন জীবনের জিনিসের দাম বাড়ছে এর জবাব নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপিকে দিতে হবে। আর কোন মিডিয়া, সংবাদপত্র কেউ এই নিয়ে কোন কথা বলছে না, কারণ মুখ খুললেই ওরা (বিজেপি) তাদের পিছনে সিবিআই, ইডি লাগিয়ে দেবে।
- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি সংখ্যালঘু তোষণ করেন। কিসের সংখ্যালঘু তোষণ? মোয়াজ্জেম আর ইমামদের ভাতা মুসলিমের ওয়াকফ বোর্ডের টাকা থেকেই দেওয়া হয়, রাজ্যের সাধারণ মানুষের করের টাকায় দেওয়া হয় না। সিপিএমের হার্মাদ থেকে বিজেপির উন্মাদ সকলেই কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, গতিধারা সহ সকল উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। আমরা জাত পাত ধর্ম বর্ণ দেখে উন্নয়ন করি না।
- কে কি করবে, কি পরবে, কি বলবে, কি খাবে, কোথা দিয়ে হাঁটবে এখন তো এটাও ঠিক করে দিচ্ছে বিজেপি সরকার। ২০১৯ এ আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে হবে। আমরা সকলে নেত্রীর দিকনির্দেশ মেনে কাজ করে যেতে হবে।