Latest News

September 29, 2017

সামনে জোর লড়াই

সামনে জোর লড়াই

বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বহু চাপান -উতোর পার করে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সংঘবদ্ধ করে ২০১১-র ২০মে বাংলার ক্ষমতায় এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়. সেই ঐতিহাসিক বিধানসভানির্বাচনে ২৭ দিনে ১৮৭ টি জনসভার মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সেই রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণে বাংলায় সঠিক পরিস্থিতির বাতাবরণকে সামনে রেখে মানুষেরকাছে আবেদন করেছিলেন বাংলার পরিবর্তনের।রাজনৈতিক সন্ত্রাস,অরাজকতা ,অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের বাংলা গড়ে তোলার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ মমতাবন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার কান্ডারি হিসাবে চিহ্নিত করলেন।
রাজনৈতিক সন্ত্রাস,অরাজকতা ,অনুন্নয়নের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে উন্নয়নের বাংলা গড়ে তোলার সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলার কান্ডারি হিসাবে চিহ্নিতকরলেন।

বাংলার মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের কর্মসূচি নিয়ে রাজ্যজুড়ে কন্যাশ্রী  ,যুবশ্রী,খাদ্যসাথী,সবুজসাথী,জলধরো-জলভরোর মতো বিভিন্ন কর্মযজ্ঞের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছেপোঁছানোর চেষ্টা করলেন।শুধু প্রকল্প রুপায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করলেন । শুধু প্রকল্প রুপায়নের মধ্যে দিয়ে বাংলার মানুষ সুফল পেতে শুরু করল ।

প্রথম পর্যায়ে ১১৬ টি প্রশাসনিক বৈঠক করে সচিবালয়ের মন্ত্রীবর্গ থেকে শুরু করে আধিকারিকদের নিয়ে বাংলার গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বস্তরের মানুষকে তার পাওনা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। মানুষের কাছে পৌঁছাতে শুরু করল মা-মাটি-মানুষের সরকারের বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা , খাদ্য সাথীর মতো প্রকল্পের সুবিধা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কর্মকাণ্ড মানুষ উপলব্ধি করেছে বলেই ২০১৬ র নির্বাচনে যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েছে। আমরা মনে করি সংসদীয় গণতন্ত্রে কোন নির্বাচন এলে যে রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এসেছে রাজ্যের সাফল্য বা ব্যর্থতা সেই সরকারের ওপর নির্ভর করে। তাঁর উপরেই নির্বাচনে অংশ নেয় সরকার। কিন্তু আমরা প্রত্যক্ষ করলাম, ২০১৬ সালে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কিছু সংবাদমাধ্যমের যোগসাজশে একদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে হেয় করা ও তাঁর কর্মসূচিগুলিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা যার মুখ্য নায়ক ছিল কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন শাসকদল। কিন্তু আমরা বাংলার মানুষকে কুর্নিশ করি, কারণ সাত দফা নির্বাচনে তাপপ্রবাহ (৪১ ডিগ্রী) উপেক্ষা করে মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দু হাট তুলে আশীর্বাদ করেছেন। আশীর্বাদ এমন জায়গায় পৌঁছালো যে, ২০১১ র ১৮৭ টি আসনকে অতিক্রম করে ২০১৬ তে তা ২১১ টি আসনে নিয়ে গিয়ে কেন্দ্রের শাসকদলের মুখে ঝামা ঘষে দিয়েছিল। তার পর আবারও উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ অব্যাহত।

একের পর এক মনিষীর আত্নমবলিদানে ভারত স্বাধীন হয়েছে ১৯৪৭ এর ১৫ আগস্ট। তার পর সর্বজন শ্রদ্ধেয় ডঃ বি আর আম্বেদকার দায়িত্ব নিলেন সংবিধান কমিটির। যার ফল মানুষ পেল ১৯৫০ সালে। ভারতবর্ষের সংবিধান ভারতবর্ষকে সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে এবং সংবিধান মোতাবেক মানুষ পাঁচ বছর অন্তর তাদের মতামতের ভিত্তিতে ভারতের সরকার তৈরি করে। সংবিধান মোতাবেক প্রথম নির্বাচন হয় ১৯৫২ সালে। ১, ২ করতে করতে ১৬ তম নির্বাচন হল ২০১৪ সালে। সেই নির্বাচনে ভারতবর্ষের মানুষ বিজেপির নানান রকম প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে আশাগ্রস্ত হয়ে ভারতবর্ষের ক্ষমতায় আসীন করে। দুর্ভাগ্য ভারতের মানুষের। তবে তারা উপলব্ধি করেছে এই সরকার ও রাজনৈতিক দলের একমাত্র উদ্দেশ্য নানা অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা তৈরি করার পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে বিপর্যস্ত করা। একদিকে মানুষের পাওনা থেকে তাকে বঞ্চিত করে, নোটবন্দি, স্বল্প সঞ্চয়ের সুদের হার হ্রাস, ব্যাঙ্কে নাআন বাধ্যবাধকতা তৈরির মত নানা জনবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়ে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে জাতিতে জাতিতে সংঘর্ষ ঘটিয়ে সামাজিক বিভাজন ঘটানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে, যা সংবিধান বহির্ভূত। আগ্রাসী ভূমিকা নিয়েছে এই রাজনৈতিক দল।

বাংলা সহ ভারতের রাজনৈতিক লড়াইয়ে তাই ধর্মনিরপেক্ষ রাজনৈতিক দলগুলি জোটবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করেছে। কোথাও কোথাও খামতি যদি মনে হয়, তাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই সংবদ্ধ দলগুলি আগামিদিনে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ ভূমিকা নেবে। আর তৃণমূল নেত্রীর প্রতিবাদী কণ্ঠ সোচ্চার বলেই তিনি পেরেছেন ২১ জুলাই দলের মহতি সভা থেকে সাম্প্রদায়িকতা ভারত ছাড়োর ডাক দিতে। সেখান থেকে মেদিনীপুরের সভায়। সেখান থেকে আওয়াজ তুলে ভারতের সমস্ত প্রান্তে পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু করলেন। নির্যাতন যত বেশি হবে এই আওয়াজ তত তীব্র হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংকল্প বাংলার মানুষের সমর্থন নিশ্চিতভাবে আগামিদিনে ভারতবর্ষ ব্যাপী ছড়িয়ে দেবে এই আওয়াজ – সাম্প্রদাকিতা ভারত ছাড়ো।

এই সম্পর্কে বলা যায়, ভারতের সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন নিয়ে সাম্প্রদাকিতা ভারত ছাড়ো স্লোগান দিয়ে মানুষ ২০১৯ এ লোকসভায় হাজির হবে। এবং আমত্রা নিসচিত ২০১৯ এ সর্বস্তরের, সর্বজাতের, সর্বপেশার মানুষ সংগবদ্ধ হয়ে সাম্প্রদায়িকতাকে হটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার গঠন করবে, নেতৃত্বে অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই আমাদের ভূমিকা আরও কঠিন। লড়াই আরও শক্ত মনে হলেও পথ প্রশস্ত। আগামি দিনের সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের পাশে থেকে সার্বিক উন্নয়ন, আমাদের এই কর্তব্য পালন করে যেতে হবে। সবরকমভাবে বাংলার মানুষ অত্যন্ত সক্রিয়। তারা উপলব্ধি করেন তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার ৯ কোটি মানুষের মধ্যে সাড়ে ৬ কোটি ভোটার আর আড়াই কোটি পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে খাদ্যসাথীর মত প্রকল্প নিয়তে পারে না। মানুষ তার উন্নয়নের ছোঁয়া পান। আমাদের তৈরি হতে হবে সাম্প্রদায়িকতা হটিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের দিকে।