মে ৬, ২০২১
মাস্ক অবশ্যই পরুন, ভয় পাবেন না, আগামী ১৫ দিন সাবধানে থাকুনঃ মুখ্যমন্ত্রী

আজ নবান্নে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ
রাজ্য জেলা মহকুমা স্তরে ১০৫ টি হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজ ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালগুলোয় অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হবে
ডায়মন্ড হারবার ও কোচবিহার মেডিকেল কলেজে ইতিমধ্যেই অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হয়ে গেছে
যারা ইন্টার্নশিপ করছে, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করছে তাদের আমরা করোনা পরিস্থিতিতে কাজে লাগাবো এর ফলে আমাদের ২০০০ ডাক্তার নার্স বাড়বে, যে কোয়াক ডাক্তার আছেন তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বন্ধু/কর্মী বলে কাজে লাগানো হবে করোনা পরিস্থিতিতে
সব নার্সিং হোম ও হাসপাতালে ৪০% বেড বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, প্রাইভেট হাসপাতালে ২০০০ করে বেড বাড়বে
জুট শিল্পে একটা শিফটে ৩০% শ্রমিক কাজ করবে
নির্বাচনের পর যারা মারা গেছে তাদের ২ লক্ষ টাকা সাহায্য করা হবে. সব রাজনৈতিক দলের যাদের ই কর্মী খুন হয়েছে তাদের সকল কে দেওয়া হবে.
নির্বাচন কমিশনের হাতে আইন শৃঙ্খলার দায়িত্ব থাকাকালীন ১৬ জন মারা গিয়েছিলো, তাতে অর্ধেক বিজেপি, অর্ধেক তৃণমূল আর এক জন সংযুক্ত মোর্চার কর্মী ছিল
করোনা পরিস্থিতিতে সব রাজনৈতিক জমায়েত নিষদ্ধ করা সত্ত্বেও কিছু কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এখন এখানে আসছেন আর গ্রামে গিয়ে লোককে উস্কাচ্ছেন, দাঙ্গার প্ররোচনা দিচ্ছেন, আমি অনুরোধ করব এভাবে দাঙ্গার প্ররোচনা দিয়ে
যেখানে যেখানে বিজেপি বেশি সিট পেয়েছে সেখানে বেশি গুন্ডামি করছে, সেই জায়গা গুলোকে ব্ল্যাক স্পট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যেখানে দক্ষতার অভাব ছিল, অনেক এস পি অফিসার বদল করে দেওয়া হয়েছে
নির্বাচনের পর আমি বিজয় উৎসব বন্ধ করে দিয়েছি সবাইকে শান্তির বার্তা দিয়েছি
আমি বিজেপিকে বলব সংযত হন, মানুষের ম্যানডেট মেনে নিন. এই জয় োর মানতে পারেনি তাই এসব চলছে
উদয়ন গুহ র হাত ভেঙে দিয়েছে। যেহেতু কোচবিহারে বিজেপি বেশি সিট পেয়েছে তাই ওখানে গুন্ডামি বেশি হচ্ছে। আমি আমাদের ছেলেমেয়েদের ও বলব কেউ গন্ডগোল করলে আমি কিন্তু কাউকে রেহাই দেব না
৬ মাস ধরে বাংলায় এসে দিল্লির নেতারা করোনা পরিস্থিতি তৈরী করেছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ করে দিয়ে চলে গেছে
কই অক্সিজেন না পেলে, ভ্যাকসিন না পেলে টিম আসে না , সাংবাদিক খুন হলে, হাতরাস হলে টিম আসে না তো., দিল্লি উত্তরপ্রদেশে দাঙ্গা হলেও টিম আসে না, আমি শপথ নেওয়ার ২৪ ঘন্টা না হতেই টিম পাঠাচ্ছে? অতিথি আসতেই পারে, ধন্যবাদ
বাইরে থেকে যে কেউ এলে আর টি পি সি আর সার্টিফিকেট আনতে হবে, না থাকলে আমরা টেস্ট করব, আইন সকলের জন্য সমান সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। স্পেশ্যাল ফ্লাইটে এলেও এই টেস্ট মাস্ট, করোনা হলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন এ থাকবে
নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন পি এম কিষান যোজনায় সব কৃষকদের ১৮০০০ টাকা করে দেওয়া হবে। আজ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছি। ১৪.৯১ লক্ষ কৃষকের নাম নথিভুক্ত করে পাঠানো হয়েছে। , আমরা চাই টাকাটা সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হোক
১ লা জানুয়ারি ২০১৯ থেকে এখনও পর্যন্ত কৃষক বন্ধু প্রকল্পের আওতায় ৩৪৫৪ কোটি টাকা আমরা দিয়ে দিয়েছি। ডেথ বেনিফিট স্কিমের আওতায় ২০৬৭৮ জন কৃষকের পরিবারকে ৪১৩. ৫৬ কোটি টাকা দেওয়া হবে
করোনা পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে কৃষকদের যে ১০০০০ টাকা দেওয়ার কথা হয়েছে সেই প্রক্রিয়া, দুয়ারে রেশন, মহিলাদের পেনশন এইসব প্রক্রিয়াও আমরা শুরু করব
মাস্ক টা অবশ্যই পরুন, ভয় পাবেন না, সাবধানে থাকুন আগামী ১৫ দিন, সতর্ক করছি নিজেদের যত্ন নিন
গ্রামের মানুষ সব ক্লাব, পুজো কমিটি সহ সব ধর্মীয় সংগঠন কে বলব দায়িত্ব নিন, সকল কে বোঝান, জমায়েত করবেন না ৫০ জনের বেশি, সম্ভব হলে ঘরে বসে প্রার্থনা করুন
মিথ্যে কথা রটানো হচ্ছে বাংলার বদনাম করার জন্য। বাংলার মা বোনের সম্মান আমার কাছে হিমালয়ের চূড়ার মতন
কাউকে কোন দাঙ্গা করতে দেওয়া হবে না, সরকার কঠোর হাতে এসব দমন করবে
আমাদের অক্সিজেন অন্য রাজ্যে নিয়ে যাচ্ছে, ৩০০০০ কোটি টাকার ভ্যাকসিন দিচ্ছে না অথচ ২০০০০ কোটি টাকা দিয়ে সংসদ ভবন হচ্ছে, মূর্তি তৈরী হচ্ছে, কেন মানুষ ভুগছে? ওরা বাংলার নির্বাচনের জন্য করোনাকে অবহেলা করেছে, ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি
পরাজয় মানতে পারছে না, এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর পরিবর্তে দাঙ্গা করার জন্য মন্ত্রী পাঠাচ্ছে, কেন ওদের মন্ত্রীরা কোভিড হাসপাতাল পরিদর্শনে যাচ্ছে না?