Planning, preparations and resource mobilisation for Durga Puja, the biggest festival of Bengal, begins at least three months before the actual Puja begins. “It is an industry that becomes active for three months, where the involvement can’t be seen. But I feel that without any big investment, it is the biggest investment”, Chief Minister Mamata Banerjee said while inaugurating the Suruchi Sangha Puja in south Kolkata today.
So many people are involved right from forming the ideas and themes to procuring raw material, creating the pratimas and structures, the decorations, the lighting — the festival begins even before Mahalaya, she pointed out. The pandals in the city as well as the districts are “very beautiful this year, and the creativity of those involved is quite good”. A large number of clubs had been given items to promote the Football World Cup that begins in the country early next month, the semi-final and final of which will be held in Kolkata.
Urging the public to enjoy the festivities, she reiterated that people must not fall prey to conspiracies and rumours. “There are people who do not like our enjoyment and happiness and will try to disrupt through false Facebook posts and tweets. You must counter this and say that such things don’t happen in Bengal, where the people celebrate every festival and take part in every tradition”. She said some people in the past had resorted to lying, conspiring and spreading wrong information, but had not succeeded. “They have forgotten we are from Bengal, and proud to have been born here. We want the progress and happiness of its people”.
The Chief Minister said she had no objection over immersions taking place on all days. But usually, they don’t take place on Ekadoshi (the day after Vijaya Dashami), which this year coincides with the observation of Muharram. The people in Bengal respect all faiths and traditions — let them be carried out peacefully and in harmony, she implored. Assuring the public that everything will take place in an orderly manner, she said that the police and administration would be there all through to help out. “Enjoy the Pujas fearlessly and with happiness. See the creativity, the wide range of artistry and feel the goodness of Durga Puja in Bengal, which is famous all over the world”.
দুর্গাপুজো বিগ নয়, বিগেস্ট ইনভেস্টমেন্টঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
আজ সুরুচি সংঘের পুজোর উদ্বোধন করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, তিনি ওই পুজোর থিম সঙও রচনা করেছেন।
তিনি আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে চলা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ যার কিছু খেলা কলকাতায় অনুষ্ঠিত হবে, সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলার ফুটবলকে তথা খেলাধুলোকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। প্রতিটি ক্লাবে অনেক উপহার দেওয়া হয়েছে এই প্রতিযোগিতার প্রচার করতে। আগের তুলনায় এখন পুজোমন্ডপগুলি আগে উদ্বোধন হওয়ায় ট্রাফিক পুলিশের ওপর যে পরিমাণ চাপ বৃদ্ধি হয়েছে, সে কথাও মনে করিয়ে দেন।
এই পুজোকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়, লক্ষ লক্ষ শ্রম দিবস তৈরি হয়। অগণিত শিল্পীদের জীবিকা নির্বাহ হয়, বিভিন্ন ধরনের শিল্পীরা যুক্ত থাকেন প্রতিটা পুজোতে। এর ফলে শিল্পের বিকাশ হয়, শিল্পীদের মধ্যে আরও ভালো কাজ করার প্রতিযোগিতা বাড়ে, ফলে শিল্পের উন্নতি হয়, বাড়ে রাজ্যের শিল্পের মান। তিনি বলেন পুজো শুধু বিগ নয়- ‘বিগেস্ট ইনভেস্টমেন্ট’। অনেক আইডিয়া এই প্যান্ডেল থেকে নিয়ে গিয়ে অনেকে ক্ষুদ্র শিল্পে কাজে লাগায়।বিভিন্ন পুজোর বিভিন্ন রকমের থিমের তিনি প্রশংসা করেন।
তিনি জনসাধারণকে সতর্ক করে বলেন, “কোনও চক্রান্তে ভুল বুঝবেন না। কিছু কিছু মানুষ ফেসবুককে ফেকবুক হিসেবে ব্যবহার করে, টুইট করে মিথ্যে কথা বলে, মানুষের সঙ্গে মানুষের সংঘাত লাগানোর চেষ্টা করে। অনেকে বাংলার আনন্দ সহ্য করতে পারে না, অনেকে নিরানন্দের ভূমিকা তৈরি করেন, আপনারা সবাই এটাকে কাউন্টার করুন। কাউন্টার করে বলুন, বাংলা এর জায়গা নয়, বাংলার বিরুদ্ধে যারা কথা বলবে, আমরা তাঁদের ছেড়ে কথা বলব না। সাড়া পৃথিবীতে একটা উৎসব দেখান যারা বাংলার মতো করে যেকোনো উৎসবকে উৎসাহিত করতে পারে। এখানে প্রচুর গণপতি পুজো হয়, কখনও কি ভাবি ওটা মহারাষ্ট্রের পুজো? গুরু নানকের জন্মদিন পালন করি, কখনও ভাবি ওটা পাঞ্জাবের পুজো? দেশনেতা কারা হয়? যাদের সারা দেশ নেতা বলে মনে করে। এ সমাজে কিছু ভালো লোক আছে, কিছু খারাপ লোক আছে, কিছু ‘গুডি গুডি’ আছে, যারা ভেরি ডেঞ্জারাস। এরা মিথ্যে বলবে, কুৎসা করবে, চক্রান্ত করবে, ষড়যন্ত্র করবে, একটা ভোজপুরি সিনেমার ছবি দিয়ে বলছে বাংলার ঘটনা, বাংলাদেশের একটা ঘটনার ফটো দিয়ে বলছে এটা বসিরহাটে হচ্ছে- পুরোটাই মিথ্যে কথা। বাংলায় এসব জিনিস হয় না। বাংলার মাটি কখনও অমানবিক, দানবিক হতে পারে না। এ মাটি কৃষ্টি, সংস্কৃতি, জাগরনের মাটি। বাংলা সাড়া বিশ্বকে পথ দেখায়, তাই, বাংলা- বিশ্ব বাংলা। বাংলার মাটিতে আমরা জন্মেছি, আমরা গর্বিত। অনেক বড় উৎসব আছে, কিন্তু, একটা রাজ্যের একটা উৎসবকে কেন্দ্র করে সাড়া বিশ্বে উৎসব হয়, কেউ দেখাতে পারবেন? প্রত্যেকটা দেশ থেকে লোক আসছে, পুজো দেখতে। মানুষে মানুষে এত মিল আর কোথাও কেঊ দেখাতে পারবে না।”
তিনি বিসর্জন প্রসঙ্গে বলেন, “আমার কোনও আপত্তি নেই, যে যবে খুশি বিসর্জন দিক, তবে বাড়ির পুজো কেউ একাদশীতে বিসর্জন দেয় না। আমি প্রচার করে ধর্ম মানি না, সব ধর্মকে ভালবাসি। আমাদের উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ ভাবে বিসর্জন ও মহরম পালন করা। একটা দাঙ্গা লাগানো খুব সহজ, এদের কাজ হল বাংলার বদনাম করা। বাংলায় দাঙ্গা হল, বাংলায় পুজো হল না, তাই এরা চায়। বলল, জগন্নাথদেবের মন্দিরে আমায় ঢুকতে দেওয়া হবে না, কারণ আমি হিন্দু না, তো সেখানে পুরোহিতরা আমাকে প্রায় আলিঙ্গন করে নিয়ে গেছে। যারা আমার জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলে, তাদের বাংলার মাটি প্রশ্রয় দেয় না। এত নিম্ন রুচি, মানসিকতা, সঙ্কীর্ণতা, এটা রাজনীতি, সমাজ সংস্কার নয়, আমরা এগুলকে ঘৃণা করি, আমাদের এখানে পুরান, কোরান, বাইবেল, গ্রন্থসাহেব, ত্রিপিটক সব থাকবে।”
তিনি আরও বলেন যে -প্রতিটি পুজো কমিটির দায়িত্ব বেড়ে গেছে, আমি তাদের অভিনন্দন জানাই। কেউ কেউ চক্রান্ত করতে পারে, মানুষকে দুঃখী করার চেষ্টা করতে পারে, আমি চাই মানুষ যেন দুঃখী না হয়। আপনারা চিন্তা করবেন না, নিশ্চিন্তে ভালভাবে শান্তিতে পুজো করুন। প্রশাসন আপনাদের সঙ্গে আছে, পাড়ার ছেলেমেয়েদের সাহায্য চাই।
পুজোর দিনগুলিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশ, বিদেশ ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা অগণিত মানুষকে শারদীয়ার শুভেচ্ছা বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।