সাম্প্রতিক খবর

মার্চ ১৪, ২০১৯

কৃষক উন্নয়নে ব্রতী বাংলা

কৃষক উন্নয়নে ব্রতী বাংলা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও তাঁর নির্দেশে রাজ্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কৃষক-বান্ধব প্রকল্পের ফলে রাজ্যের কৃষকদের গড় আয় গত সাত বছরে বেড়েছে তিনগুণেরও বেশী।

এই অভূতপূর্ব সাফল্যের মূলকারণের মধ্যে যে প্রকল্পগুলি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, সেগুলি দেখে নেওয়া যাকঃ

রাজ্য সরকার কৃষিজমির খাজনা সম্পূর্ণ মুকুব করেছে।

রাজ্য সরকার কৃষিজমি হস্তান্তরের ক্ষেত্রে মিউটেশন ফি মুকুব করে দিয়েছে। পাশাপাশি সব মিউটেশন এখনঅনলাইনে হয়। ফলে বিএলআরও অফিসে গিয়ে মানুষকে আর হয়রান হতে হয় না।

শস্য নষ্ট হলে রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দেয় – ৩০ লক্ষ পরিবারকে ১২০০ কোটি টাকা সাহায্য দেওয়া হয়েছে।

বাংলা ফসল বীমা যোজনা’র পুরো প্রিমিয়াম দেয় রাজ্য সরকার (বাণিজ্যিক ফসল বাদে)।

ধানের যথাযথ মূল্যের নিশ্চয়তা- নিজে ধান দিন, নিজে চেক নিন

কৃষকদের সুবিধার্থে রাজ্য জুড়ে ৩৬৪১টি এটিএম চালু করছে রাজ্য সমবায় দপ্তর।

৩৪১টি ব্লকের ৭০০জন কৃষি সহায়কের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ট্যাব। যাঁদের কাজ হল তৃণমূল স্তরের চাষিদেরসঙ্গে সরাসরি ‘মাটির কথা’ পোর্টালের যোগসূত্র গড়ে দেওয়া। পাশাপাশি চাষের উৎপাদনের ক্ষেত্রে বীজ, সার বাকীটনাশক নিয়ে সমস্যা হলে ট্যাবের মাধ্যমে ছবি তুলে পোর্টালে জানানো যাবে। রাজ্যের কৃষি দপ্তরের বিশেষজ্ঞ বাগবেষকরা ওই ছবি ও সমস্যা নিরীক্ষণ করে তাঁদের মতামত ও সমাধানসূত্র জানিয়ে দিচ্ছেন।

চালু হয়েছে টোল ফ্রি নম্বরও ১৮০০-১০৩-১১০০

কৃষক বন্ধু:

প্রতি বছর রাজ্য সরকার যে কোনও একটা চাষের জন্য দু ক্ষেপে একর পিছু পাঁচ হাজার টাকা করে দেবে। এ রাজ্যে ছোট জমির পরিমাণ বেশী। জমি ছোট হলে, একরের অনুপাতে টাকা পাবেন কৃষকরা।

কৃষকদের জীবনের গ্যারান্টি তাদের জমি, তাদের ভবিষ্যৎ জীবনকে সুরক্ষিত করার জন্য বাংলার সরকার অ্যাসিওরেন্স মডেল তৈরী করছে। ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত যদি কোনও কোনও কৃষক বা খেত মজুর মারা যান, সে স্বাভাবিক মৃত্যু হোক বা দুর্ঘটনায় মৃত্যু হোক, তাঁর পরিবার যাতে অসহায় না হয়ে যায়, সেজন্য সেই কৃষক পরিবারকে দু লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে। কৃষকদের জীবনের একটা গ্যারান্টি দেওয়া হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে।

রাজ্যে প্রায় ৭২ লক্ষ কৃষক ও খেত মজুর পরিবার আছে।

কৃষক ভাতা

এছাড়া, কৃষকদের সুরক্ষিত ভবিষ্যতের উদ্দেশ্যে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। কৃষকদের আর্থিক স্বাধীনতা প্রদানকারী এই ভাতার পরিমাণ মাসিক ১০০০ টাকা।

তবে কয়েকটি শর্ত আছে এই ভাতা পাওয়ার জন্য। সেগুলি হলঃ

বয়স ন্যুনতম ৬০ বছর ও অন্য ভাবে সক্ষমদের ক্ষেত্রে ৫৫ বছর পূর্ণ হতে হবে

কমপক্ষে শেষ ১০ বছর পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে

কৃষক হলে সর্বাধিক ১ একর জমির মালিক বা বর্গাদার হলে সর্বাধিক ২ একর জমি চাষ করতেন বা ভূমিহীন ক্ষেতমজুর

জীবনধারণের জন্য কোনওরকম সংস্থান নেই কিংবা নিকট-আত্মীয় কেউ দেখভাল করেন না

রাজ্য সরকার অথবা কেন্দ্রীয় সরকার অথবা তাদের দ্বারা পরিচালিত/পোষিত কোনও সংস্থা থেকে কোনওপ্রকার ভাতা বা আর্থিক সাহায্য পান না