সাম্প্রতিক খবর

মে ৩০, ২০১৮

পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য সকলের সঙ্গে একসাথে কাজ করতে হবে: কালিম্পঙে মুখ্যমন্ত্রী

পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য সকলের সঙ্গে একসাথে কাজ করতে হবে: কালিম্পঙে মুখ্যমন্ত্রী

৫ দিনের সফরে পাহাড়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী যখন কালিম্পঙে প্রবেশ করছিলেন, তখন বৃষ্টি উপেক্ষা করে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য অর্কিডের শহরে রাস্তার দু’‌পাশে মানুষের ঢল নেমেছিল।

আজ কালিম্পঙে একটি জনসভাও করেন মুখ্যমন্ত্রী।

 

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশ:

সকলকে বুদ্ধিস্ট ফেস্টিভ্যালের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আজ শেরপা তেনজিং নোরগের জন্মদিবস। উনি দেশের গৌরব, ওনাকে আমার শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই।

আমরা পাহাড়ের উন্নয়ন চাই, ভালো চাই। পাহাড়ের ভাই-বোনেদের উন্নতি চাই।

গতবছর আমরা কালিম্পঙ কে নতুন জেলা ঘোষণা করেছি।

আমি ৬ মাস অন্তর পাহাড়ে আসি। আগে যা হয়েছে তা ভুলে যেতে চাই। পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য সকলের সঙ্গে একসাথে কাজ করতে হবে।

কেউ যদি ৭-৮ মাসের জন্য বনধ ডাকে তাহলে মানুষের রোজগার বন্ধ হয়ে যায়, উন্নয়ন থমকে যায়, মানুষের অনেক ক্ষতি হয়। আমরা চাই পাহাড়ের উন্নয়ন হোক। পাহাড়ের উন্নয়নের সাহায্য করার জন্য আজ আমি এখানে এসেছি।

দার্জিলিঙ, কালিম্পঙে পর্যটন দেখার জন্য মানুষ পাহাড়ে আসে। পর্যটন এখানে রোজগারের সবচেয়ে বড় উৎস।

আরও বেশি ট্যুরিস্ট সেন্টার তৈরী করতে হবে, হোম ট্যুরিজম, ইন্ডাস্ট্রি বাড়াতে হবে, পাহাড়কে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

কার্শিয়াঙে প্রেসিন্ডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে এডুকেশন হাব বানানো হচ্ছে। দূর দূর থেকে মানুষ এখানে পড়তে আসে. আমরা চাই দার্জিলিঙেও একটি এডুকেশন হাব হোক।

দার্জিলিঙের মংপু তে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর জন্য জমি দিয়েছে রাজ্য সরকার।

দার্জিলিঙের ৩০০ জনকে জমির পাট্টা দেওয়া হবে।

এখানে কলেজ, আইটিআই, ট্যুরিজম সেন্টার ইত্যাদি তৈরীর পরিকল্পনা আছে সরকারের। আরও বেশি পর্যটক আসুক।

শান্তি থাকলে সব কাজ ভালোভাবে হয়। আমরা চাই পাহাড়ে শান্তি বজায় রাখুক।

পাহাড়ের ৮ টি বোর্ডের উন্নয়নের জন্য ৯৬ কোটি টাকা দিয়েছি। আগে ৫৫৭ কোটি দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই সব বোর্ড ঠিক করে কাজ করে. অডিট যেন ঠিক করে হয়, কারণ এটা সাধারণ মানুষের টাকা।

৪৭ হাজার মানুষ উপকৃত হয়েছে। ১৯ হাজার নতুন টয়লেট তৈরী করা হয়েছে। গরীব লোকেদের আবাসন প্রকল্পে বাড়ি দেওয়া হয়েছে। হোস্টেল, মাউন্টেনিয়ারিং প্রশিক্ষণ, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ইত্যাদি করা হয়েছে। ক্লিন দার্জিলিং গ্রিন দার্জিলিং প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

আগামীদিনে গীতাঞ্জলি প্রকল্পে আরো মানুষকে বাড়ি দেওয়া হবে। আমরা চাই আপনারা যাতে মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে নিজের বাড়িতে থাকতে পারেন। আমরা সবরকম সহযোগিতা করব।

যে ভালো কাজ করবে তাকে আমি বেশি সহযোগিতা করবো। আমাদের একটি পরিবারের মতো একসাথে থেকে উন্নয়নের কাজ করতে হবে। বাংলার লোক দার্জিলিংকে খুব ভালোবাসে।

আমি বারবার এখানে আসব। আমরা দেখতে চাই আমাদের পাহাড় হাসছে। সকলে ভালো থাকুন।