সাম্প্রতিক খবর

মার্চ ১৮, ২০১৯

এই লড়াইটা সাম্প্রদায়িক মোদী আর বাংলার অগ্নিকন্যার লড়াই: অভিষেক

এই লড়াইটা সাম্প্রদায়িক মোদী আর বাংলার অগ্নিকন্যার লড়াই: অভিষেক

আজ বাঁকুড়া স্টেডিয়ামে একটি কর্মীসভায় বক্তব্য রাখেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

ওনার বক্তব্যের কিছু অংশ:

সুব্রত মুখার্জী একজন অভিজ্ঞ নেতা এবং দক্ষ প্রশাসক।

মা-বোনেদের নতমস্তকে প্রণাম জানাচ্ছি। নারীশক্তি যাদের সঙ্গে থাকেন তারা কোনওদিন পরাজিত হয় না।

এই লড়াইটা সাম্প্রদায়িক মোদী আর বাংলার অগ্নিকন্যার লড়াই। আপনাদের সকলকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।

যে ব্লকে কাজ করছেন তিনি ব্লকেই করুন, যে জেলায় কাজ করছেন তিনি জেলায় কাজ করুন, যে বুথে কাজ করছেন তিনি বুথেই কাজ করুন।

ভাল কাজ যদি করো আমরা পরীক্ষিত সৈনিকদের শীর্ষে এনে বসিয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেব।

পাঁচ বছর আগে যারা আচ্ছে দিনের নাম করে ক্ষমতায় এসেছিল, বাঁকুড়া জেলার উন্নয়নের জন্য এক পয়সাও খরচ তারা করেনি।

বাঁকুড়ায় পানীয় জল সরবরাহ যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় সে জন্য ১১০০ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেছে। এটা একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যেই সম্ভব হয়েছে।

রাস্তাঘাটের উন্নতি হয়েছে। মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল, এসএনসিইউ তৈরী হয়েছে।

বাঁকুড়ার কোনও গ্রামে বিদ্যুতের অভাব নেই।

রাষ্ট্রসঙ্ঘে কন্যাশ্রী আজ বিশ্ববন্দিত। উৎকর্ষ বাংলা বিশ্বস্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলার মাটিতে যে প্রতিভা রয়েছে বিশ্বের আর কোথাও তা নেই।

আমরা কোনও দিন নরেন্দ্র মোদীকে চা বিক্রী করতে দেখিনি কিন্তু আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হাওয়াই চটি পরে আর টালির ঘরে থেকে ১০ কোটি মানুষের উন্নয়ন করতে দেখেছি।

বিজেপি ধর্ম আর দাঙ্গার নামে বাংলাকে অশান্ত করতে চাইছে।

পেট্রোলের দাম বৃদ্ধি হোক বা রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি, আমরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছি।

সিবিআই, ইডি দেখিয়ে বিজেপি ভেবেছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে বশ্যতা স্বীকার করাবে। তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার মানুষের সম্মান কলুষিত হতে দেয়নি।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঐক্যবদ্ধ ভারত গড়ার ডাক দিয়েছেন, প্রগতিশীল, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক সরকার গঠন করার ডাক দিয়েছেন।

বাংলাই ভারতের পথ দেখাবে।

আজকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করছেন নরেন্দ্র মোদী তাই অনুসরণ করছেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী প্রকল্পে শুধুমাত্র বাংলার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকা খরচা করেছেন, আর নরেন্দ্র মোদী বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে সারা ভারতের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন।

নরেন্দ্র মোদী বিদেশ ভ্রমণ, মূর্তি তৈরী, পিআর-এ কোটি কোটি টাকা খরচা করেছেন। নারী সুরক্ষা, ১০০ দিনের কাজ এবং মানুষের উন্নয়নের অন্যান্য প্রকল্পের জন্য কোনও টাকা নেই।

যারা আগে লাল ঝান্ডা নিয়ে ঘুরে বেড়াত তারাই আজ গেরুয়া পতাকা ধরেছে।

পাঁচ রাজ্যে বিজেপি হারার পর পেট্রোলের দাম, রান্নার গ্যাসের দাম এবং জিএসটি কমেছে।

বাঁকুড়ার মানুষ বিজপিকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবে।

বিজেপি ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে তাদের কোনও উন্নয়নের কর্মসূচী নেই।

বিজেপিকে বেঁচে থাকতে গেলে ধর্ম, দাঙ্গা, আর নকল দেশপ্রেমের প্রয়োজন হয়।

বিজেপির সময় শেষ। মোদীর অহংকার ও দম্ভের জবাব মানুষ আগামীদিন দেবেন।

মনে রাখবেন, ভোট-টা সুব্রত মুখার্জীকে নয়, ভোটটা শ্যামল সাঁতরাকে নয়, ভোট-টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিচ্ছেন।

এক ইঞ্চি জমি আমরা বিজেপিকে ছাড়তে প্রস্তুত নয়। আমরা বাংলার সম্মান রক্ষার জন্য লড়াই করব।