সাম্প্রতিক খবর

মে ২৯, ২০১৮

৭৬ গ্রামকে মডেল হিসেবে চিহ্নিত করছে স্বরোজগার নিগম, বাড়বে কর্মসংস্থান

৭৬ গ্রামকে মডেল হিসেবে চিহ্নিত করছে স্বরোজগার নিগম, বাড়বে কর্মসংস্থান

গ্রামের মানুষকে স্বনির্ভর করে তুলতে রাজ্যের ১১টি জেলার ৩৮টি মহকুমার দু’টি করে মোট ৭৬টি গ্রামকে মডেল গ্রাম হিসেবে চিহ্নিত করছে পশ্চিমবঙ্গ স্বরোজগার নিগম।

রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে ওই ৭৬টি গ্রামে পুকুর সংস্কার করে মাছ চাষ, পশু খামার সহ একাধিক প্রকল্প গড়ে তুলবে নিগম। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে আগামী দিনে রাজ্যের বাকি জেলাগুলিও এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

স্বরোজগার নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পে ৭৬টি গ্রামের হাজার হাজার যুবক-যুবতী উপকৃত হবেন। এর জন্য প্রাণি সম্পদ বিকাশ দপ্তর, মৎস্য দপ্তর, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তর সহ একাধিক দপ্তরের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধতে চলেছে স্বরোজগার নিগম।

প্রথম পর্যায়ে রাজ্যের উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ৩৮টি মহকুমার ৭৬টি গ্রাম এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হবে। চলতি বছরে এই প্রকল্পটি সাফল্য পেলে আগামী বছর বাকি ৯টি জেলাও এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার দিকে নজর দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই লক্ষাধিক যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থান হয়েছে। এই প্রকল্প চালু হলে আরও কয়েক হাজার যুবক-যুবতীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে। স্বামী বিবেকানন্দ কর্মসংস্থান প্রকল্পে প্রতি বছর বহু যুবককে ঋণের ব্যবস্থা করে নিগম। তার জন্য ওই যুবকদের ভর্তুকিও দেওয়া হয়। এবার ওই মডেল গ্রামের যুবকদের এই প্রকল্পে ঋণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এছাড়া কেউ মৎস্য চাষ বা পশুপালন করতে চাইলে তাঁদের বিনামূল্যে মাছের চারা বা হাঁস, মুরগি, গোরু, ছাগল ইত্যাদি দেওয়া হবে। ফলে ওই পশুপালন করে বহু যুবকের মাসে গড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা আয় হবে।