সাম্প্রতিক খবর

জুলাই ৫, ২০১৯

ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে রাজ্যের ‘রেডি টু ইট’ খাদ্য

ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে রাজ্যের ‘রেডি টু ইট’ খাদ্য

বাম জমানায় রাজ্যে আমলাশোলে অনাহারে মৃত্যুর ঘটনায় বিতর্ক তৈরী হয়েছিল। তৃণমূল আমলে অপুষ্টির প্রকোপ বাম জমানার তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। তাও অপুষ্টির নিরিখে রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে শীর্ষে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর। এই অপুষ্টি দূর করতে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে নিয়মমাফিক খাবার দেওয়ার পাশাপাশি ‘রেডি টু ইট’ খাবারের বন্দোবস্ত করতে চলেছে রাজ্য।

অপুষ্টি মোকাবিলায় প্রাতঃরাশ ও দুপুরের খাবারের পাশাপাশি বাড়িতে গিয়ে খাওয়ার জন্য ‘রেডি টু ইট’ ফুড প্যাকেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমাজকল্যাণ দপ্তর। গম, বাদাম, ছোলা, চিনির মিশ্রণে এই রেডি টু ইট খাবার দেওয়া হবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে। এই মিশ্রণ অল্প গরম জলে গুলে খাওয়া যাবে। পুজোর আগেই রাজ্যের দু’টি জেলায় এই পাইলট প্রজেক্ট চালু হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে তৈরি হবে এগুলি। অপুষ্টির মোকাবিলায় খাবারের তালিকায় এই বদল ঘটানো হচ্ছে বলে সোমবার বিধানসভায় জানিয়েছেন রাজ্যের নারী-শিশু কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী। বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রীর পেশ করা পরিসংখ্যান জানাচ্ছে, রাজ্যে এখন অপুষ্টির হার ৮.৫৬ শতাংশ। বাম জমানায় যা ৪০-৪৫ শতাংশ ছিল বলে মন্ত্রীর দাবি।

মন্ত্রীর কথায়, ‘রাজ্যে এখন অপুষ্টির শিকার ৫ লক্ষ ২৩ হাজার শিশু। এর মধ্যে সংখ্যার নিরিখে পশ্চিম মেদিনীপুরে অপুষ্টির সংখ্যা বেশী। মে মাসের হিসেব অনুসারে পশ্চিম মেদিনীপুরে অপুষ্টির শিকার ৪৮,০৫৯।’ সংখ্যার নিরিখে পশ্চিম মেদিনীপুরে অপুষ্ট শিশু বেশী হলেও শতাংশের বিচারে রাজ্যে শীর্ষে রয়েছে জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম। রাজ্যে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের আওতায় রয়েছে প্রায় ৭৭ লক্ষ শিশু। ঝাড়গ্রামে শতাংশের নিরিখে অপুষ্টির হার ১৬.০২ শতাংশ। মুর্শিদাবাদে অপুষ্টির হার তুলনামূলক ভাবে কম। মে মাসের হিসেব অনুযায়ী যা ৪.০৭ শতাংশ। সে জায়গায় কলকাতায় অপুষ্টির হার তুলনামূলক ভাবে বেশি, ৭.৫৬ শতাংশ।

বর্তমান নিয়মে, অপুষ্টিতে আক্রান্ত শিশুদের জন্য প্রতি সপ্তাহে একদিন অন্তর মোট তিনদিন ৮৬৮.১৩ কিলো ক্যালরি এবং ৩৬.৭২ গ্রাম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দেওয়া হয়। সপ্তাহের বাকি তিন দিন ৮৩৭.৯১ কিলো ক্যালরি এবং ৩৫.৬২ গ্রাম প্রোটিন যুক্ত খাবার দেওয়া হয়। পাশাপাশি এখন ‘রেডি টু ইট’ খাবারের বন্দোবস্ত করে অপুষ্টির মোকাবিলা করতে চাইছে রাজ্য সরকার। সাধারণত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রগুলিতে ভাতের সঙ্গে ডিম, সোয়াবিন আর প্রাতঃরাশে কলা-ডিম জাতীয় খাবার দেওয়া হয়।

সৌজন্যেঃ এই সময়