মার্চ ১০, ২০১৯
বহুতল গড়তে ছাড়পত্র ঠিকা টেন্যান্টদের

কলকাতা ও হাওড়া পুর এলাকায় ঠিকা টেন্যান্ট ও ভাড়াটিয়ারা এবার থেকে পুরসভার এখনকার নিয়ম অনুযায়ী বাড়ি তৈরি করতে পারবেন, চাইলে বহুতলও। এখন সর্বোচ্চ ৯.৫ মিটার উচ্চতা পর্যন্ত পাকা বাড়ি করার অধিকার এরা পেয়ে থাকেন। বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত, ঠিকা টেন্যান্ট আইন সংশোধন করে এই সুযোগ দেওয়া হবে।
বৈঠক শেষে কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বস্তির জমিতে প্রোমোটিং নয়। বস্তির মানুষ নিজেদের উন্নয়ন নিজেরাই করবে। পাশে থাকবে সরকার। ঠিকা প্রজা ও তাঁদের ভাড়াটিয়ারা নিজেদের ইচ্ছেমতো যাতে বাড়ি তৈরি করতে পারেন তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে সরকার। আগামী বিধানসভা অধিবেশনে পশ্চিমবঙ্গ টেন্যান্ট আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হবে। তার প্রস্তাবও এদিনের মন্ত্রিসভায় গৃহীত হয়েছে।’
পুরসভা বাড়ির নকশার অনুমোদন দেওয়ার পাশাপাশি মিউটেশনও করে দেবে। সেক্ষেত্রে মিউটেশন দীর্ঘমেয়াদি লিজ হিসেবে দেওয়া হবে। ব্যাঙ্কঋণ যাতে পাওয়া যায় তার ব্যবস্থাও করা হবে। সংশোধিত আইনের সুযোগ যারা নিতে পারবেন, তাদের আর ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকতে হবে না। বাড়ির মালিকানা পেয়ে যাবেন। তবে বাড়ি বা ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা গেলেও বিক্রি করা যাবে না। যারা নিজেরা বাড়ি করতে পারবেন তারা করে নেবেন। বাড়ি তৈরীর পর যে জায়গা ফাঁকা পড়ে থাকবে সেই জায়গা যাতে প্রোমোটারদের হাতে চলে না যায়, সংশোধিত আইনে তার ব্যবস্থাও রাখা হবে। নিয়মমাফিক ফাঁকা ঠিকা জমি সরকারের হাতেই ফিরে আসে। এই ফাঁকা জমিতে মুখ্যমন্ত্রী সবুজায়ন করতে চান। শিশুদের জন্য পার্ক তৈরি করা হবে।
প্রয়োজনে বস্তিবাসীদের জন্য বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প গড়ে তোলা হবে। যাদের আর্থিক সঙ্গতি নেই, তাদের জন্যও ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। প্রত্যেকে ৩৮৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট পাবেন। যে ঠিকা জমিতে যেরকম সুবিধে পাওয়া যাবে সেই অনুযায়ী চার থেকে পাঁচতলা আবাসন গড়ে দেওয়া হবে। প্রয়োজনে লিফ্টের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে। হাওড়া, কলকাতার পাশাপাশি আসানসোলেও কিছু ঠিকা জমি রয়েছে। সেখানেও এই প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।
পুরমন্ত্রী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর নেওয়া এই পদক্ষেপের ফলে প্রায় ৫০ লক্ষ পরিবার টালির চালের বদলে পাকা বাড়ি পাবেন, স্বাস্থ্যকর পরিবেশ পাবেন, সুস্থভাবে বাঁচার অধিকার পাবেন।’
প্রতীকী ছবি