নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এবার ভাসানে গঙ্গায় সীসার বিষ কম

এ বছর দুর্গাপুজো-কালীপুজোর পর গঙ্গায় প্রতিমা ভাসানের জেরে দূষণ আগের তুলনায় যে অনেকটা কমেছে, সেটা পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টে স্পষ্ট।
প্রতিমা বিসর্জনের ক্ষেত্রে জলদূষণের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায় প্রতিমার রংয়ে মিশে থাকা সীসা ও অন্যান্য ধাতু। পর্ষদের রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে, এ বছর দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর পর গঙ্গার বিভিন্ন ঘাটের জলে বিষের মাত্রার তেমন হেরফের হয়নি। ভাসানের আগে জলে যতটা বিষ ছিল, ভাসানের পরে তার চেয়ে তেমন বেশি বিষ পাওয়া যায়নি। এমনকী, জলের পিএইচ, বায়োলজিক্যাল অক্সিজেন ডিমান্ড (বিওডি)-সহ আনুসঙ্গিক অন্যান্য স্কেলেরও ফারাক হয়নি তেমন।
বছর চারেক আগেকার রিপোর্টের সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাচ্ছে, ভাসানের পর গঙ্গার পরিস্থিতির নিরিখে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে এ বছর প্রতিমা শিল্পীদের সচেতনতা তথা পুরসভার তৎপরাতেই এটা সম্ভব হয়েছে। ভাসানের সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিমার সজ্জা বা ফুল-বেলপাতা আলাদা করার ব্যবস্থা নিয়েছে পুরসভা। তাতে জলে আবর্জনার পরিমাণও কমেছে। ফলে, জলের পিএইচ বা বিওডি-রও বিশেষ পরিবর্তন হয়নি।
কী উঠে এসেছে পর্ষদের ওই রিপোর্টে? দুর্গাপুজোর আগে, ভাসান চলাকালীন ও ভাসানের দিন কয়েক বাদে গঙ্গার কয়েকটি ঘাটে জলের নমুনা পরীক্ষা করে দেখেছেন পর্ষদের বিশেষজ্ঞরা। পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে গঙ্গার পলির তুলনামূলক চরিত্রও। রিপোর্টে উঠে এসেছে, ভাসানের আগে ও পরে দুই সময়েই গঙ্গার জলে সীসা বা অন্য ধাতুর মাত্রা ছিল নগণ্য। পলির নমুনায় সীসার মাত্রা বাড়লেও তা খুবই সামান্য। একই ছবি উঠে এসেছে কালীপুজোতেও।