নভেম্বর ২৮, ২০১৯
সময়ের দাবি মেনে এবার হোম ডেলিভারির পথে সমবায়িকাও

যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হোম ডেলিভারি পরিষেবা চালু করতে চাইছে রাজ্য সরকারি খুচরো বিপণি ‘সমবায়িকা’। তাঁদের বাড়ির ঠিকানায় স্বল্প সময়েই সামগ্রী পাঠিয়ে দেবে সরকারি বিপণিই। এই খাতে বাড়তি খরচও করতে হবে না ক্রেতাদের।
যে ভাবে নানা বেসরকারি বিপণি ক্রেতাদের হোম ডেলিভারি পরিষেবা দেয়, সেই মডেলেই রাজ্য সমবায়ের আওতাভুক্ত সমবায়িকাও হাঁটতে চলেছে প্রতিযোগিতার বাজারে। ওই সব বেসরকারি বিপণির আদলে সরকারি এই বিপণিতে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডে কেনার সুযোগও চালু করতে উৎসাহী সরকার। এখনও সরকারি বিপণিতে কেনাকাটা হয় মূলত নগদেই।
সমবায়মন্ত্রীর বক্তব্য, ‘ক্রেতাদের সুবিধার কথা মাথায় রেখেই হোম ডেলিভারি চালুর ভাবনাচিন্তা করছি। এতে বিশেষ করে সুবিধা হবে প্রবীণদের ও কর্মরতদের। অনেক সময়েই বয়সের চাপে অনেকে কেনাকাটার জন্য অন্যদের উপর নির্ভর করেন। ঘরসংসারের জিনিসপত্র কিনে তা বয়ে বাড়ি নিয়ে যাওয়া তাঁদের পক্ষে কষ্টসাধ্য। অন্য দিকে, আজকের দিনের অনেক তরুণ দম্পতির দু’জনই কর্মরত। বাড়িতে বাচ্চাও রয়েছে। তাঁদেরও কেনাকাটায় পরিশ্রম ও সময়–দুই-ই বাঁচবে হোম ডেলিভারি পরিষেবায়।’
উল্লেখ্য, সমবায়িকাগুলি রাজ্য সমবায় দপ্তরের আওতায় ‘ক্যালকাটা হোলসেলস কনজিউমার্স কো-অপারেটিভ সোসাইটি’র পরিচালনাধীন। কলকাতায় সমবায়িকার বিপণির সংখ্যা প্রায় ৪৫টি। ২০১১ থেকেই রাজ্য সরকার সমবায়িকার পুনরুজ্জীবনে উদ্যোগী হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে হোমে ডেলিভারি চালুর কথা ভাবা হয়েছে।