সাম্প্রতিক খবর

মে ৯, ২০১৮

রবি ঠাকুরের শুরু আছে কিন্তু কোন শেষ নেই: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রবি ঠাকুরের শুরু আছে কিন্তু কোন শেষ নেই: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আজ পঁচিশে বৈশাখ। রাজ্যজুড়ে রবীন্দ্রনাথের জন্মদিবস পালিত হচ্ছে মর্যাদার সাথে। আজ রবীন্দ্র সদনে রাজ্য তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে ‘কবিপ্রণাম’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানের সূচনা করে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তাঁর বক্তব্যের কিছু অংশঃ

বিশ্বকবিকে বাদ দিয়ে দেশাত্মবোধ হয় না, কবিগুরুকে বাদ দিয়ে ভারতবর্ষ হয় না, শিক্ষা, সংস্কৃতি, পরিবেশ প্রেম, বিদায় কিছুই হয় না।

সর্বত্র তিনি আছেন সার্বজনীন হিসেবে। কবিতা, নাটক, গান, চিত্র সর্বত্র তাঁর ছন্দ, তান, অভিপ্রায় ও অভিলাষ রয়েছে।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান আমাদের জীবনশক্তি, আমাদের অনুপ্রেরণা।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যিনি সারা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছেন তিনি জন্মগ্রহণ করেছেন এই বাংলার মাটিতে, তাই আমরা সকলে গর্বিত।

তাঁর মধ্যে মানবিকতা, আধুনিকতা, সভ্যতা, স্পর্শকাতরতা, স্বদেশপ্রীতি রয়েছে বলেই তিনি তাঁকে গান্ধীজি গুরুদেব বলে সম্বোধন করতেন।

রবীন্দ্রনাথ সকল সম্প্রদায়, সব শ্রেণীর মানুষকে ভালবাসতেন। একতা, সম্প্রীতি যা আজকের সমাজে সবচেয়ে বেশি চিন্তার বিষয়, রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ। নেতাজি, গান্ধীজি, আম্বেদকর সকলে এটা ভেবেছেন।

আজকের দিনটা বাঙালীর কাছে নববর্ষের মত। কারো মতে এটা বিশ্ব সংস্কৃতি দিবস, কারো মতে এটা রবিদিবস।

রবি ঠাকুরের শুরু আছে কিন্তু কোন শেষ নেই। যতদিন পৃথিবীতে মানবিকতা, সভ্যতা, সংস্কৃতি থাকবে ততদিন এগুলির মধ্যেই রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকবেন।

রবি ঠাকুরের ‘চিত্ত যেথা ভয় শূন্য, উচ্চ যেথা শির’ আজও যুব সমাজের কাছে অনুপ্রেরণা।

রবীন্দ্রনাথকে ভুলে গেলে আমরা সংস্কৃতিকে ভুলে যাব। রবীন্দ্রসংস্কৃতিই আমাদের সংস্কৃতি যা নিয়ে আমরা মাথা উঁচু করে বাঁচব। ধমকে, চমকে আমাদের বিপথে পরিচালিত করা যাবে না।