মে ২৫, ২০১৮
মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলবে: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়

পেট্রোল–ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ পথে নামলো তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই মিছিল হয়।
আজ দুপুরে সুবোধ মল্লিক স্কোয়্যারে জমায়েত হয়ে তারপর পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত এই মিছিলটি যায়। যুব তৃণমূলের পক্ষ থেকে ডাকা হলেও, দলের সব স্তরের নেতা ও কর্মীরা এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র ও মহিলারাও ছিলেন।
মিছিল শেষ হয়ে যাওয়ার পর উপস্থিত জনতাকে সম্বোধন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির তীব্র নিন্দা করেন তিনি।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু অংশ:
আমাদের কর্মীরাই আমাদের সম্পদ। তাদের বাদ দিয়ে আমাদের দলের কোন দাম নেই।
এখানে সকল ধর্মের, সব সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে। এটাই আমাদের শিক্ষা, সংস্কৃতি–কৃষ্টি, এটা আমাদের সভ্যতা, একটা অধ্যায় বলা চলে।
কয়েকদিন আগে এফআরসিএ বিলের প্রতিবাদে আন্দোলন করেছিলাম। সেখানেও আমরা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনার পরিচয় পেয়েছিলাম। তৃণমূল কংগ্রেস জীবন দিতে প্রস্তুত কিন্তু মানুষ বিরোধী চরম সিদ্ধান্ত বিজেপি সরকারকে কার্যকরী করতে দেব না।
পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আজ আমরা আন্দোলনে নেমেছি। প্রত্যেক জেলায় ব্লকস্তরে আমরা প্রতিবাদ করব। যতদিন না এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হয় ততদিন এই আন্দোলন চলবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমাদের আন্দোলন চলবে। ভারতবর্ষের মানুষের পেটে যদি কেউ আঘাত করে তাহলে বাংলার মানুষ তা মেনে নেবে না।
এই বাংলা সংস্কৃতির বাংলা, সভ্যতার বাংলা। যদি কেউ রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে চায় আমরা প্রস্তুত আছি। আসুন তথ্য পরিসংখ্যানের সঙ্গে লড়াই করুন। আসুন দেখুন ৭ বছরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল কি কাজ করেছে, ৩৪ বছরে বাম সরকার কি কাজ করেছে আর ৪ বছরে বিজেপি কেন্দ্রে কি কাজ করেছে।
ওরা বলেছিল ক্ষমতায় এলে ‘আচ্ছে দিন’ আনবে। কিন্তু ‘আচ্ছে দিন’ কোথায়? বাড়িতে রাখলে কালো, আর ব্যাঙ্কে রাখলে গেল। আমরা সারদার কর্তাকে গ্রেফতার করিয়েছি। নীরব মোদীকে এখনও কেন গ্রেফতার করা হয়নি?
মানুষ কি করবে, কি খাবে, কি পরবে তার নিদান দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতের অন্য রাজ্য ওরা টাকা ছড়িয়ে কিনে নিতে পারে কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় তা হবে না।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করে আজ ওরা ভারতবর্ষকে অশান্ত করতে চাইছে। কিন্তু আমরা এসব বরদাস্ত করব না। আমরা প্রাণ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শকে সামনে রেখে লড়াই করব।
ওদের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে।আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ২০১৯ এর খুঁটিপুজো কর্ণাটকে হয়ে গেছে, আর এরপর দিল্লিতে বিসর্জন হবে।
রাজনৈতিকভাবে লড়াই করতে পারে না। পঞ্চায়েত ভোট যাতে না হয়, ওরা সেই চেষ্টাই করেছিল। কিন্তু ২০ টি জেলা পরিষদই মানুষ তৃণমূলকে দিল। ২০১৯ এর নির্বাচনে ৪২ টি আসনের মধ্যে সব কটিই তৃণমূল পাবে।
বিরোধীরা ভবিষ্যতে সাইনবোর্ড হয়ে যাবে। ওদের মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুঁজতে হবে।
আজকের প্রতিবাদ আন্দোলনের ছবি দেখার জন্য এখানে ক্লিক করুন