সাম্প্রতিক খবর

মে ১৯, ২০১৮

জেলা পরিষদের ৩৩৬৬ কিমি নতুন রাস্তা তৈরী করেছে রাজ্য

জেলা পরিষদের ৩৩৬৬ কিমি নতুন রাস্তা তৈরী করেছে রাজ্য

প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গ্রামীণ রাস্তাগুলির মানোন্নয়নের। গ্রামীণ আর্থ-সামাজিক বিকাশে গ্রামীণ রাস্তার গুরুত্ব মাথায় রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার জেলা পরিষদের রাস্তাগুলি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়েছিল পূর্ত দপ্তরের ওপর। উত্তর (দার্জিলিং জেলা ছাড়া) ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে নতুন ৩৩১টি রাস্তা তুলে দেওয়া হয়েছে পূর্ত দপ্তরের হাতে। এই নতুন ৩৩১টি নতুন রাস্তার বিস্তার সব মিলিয়ে ৩৩৬৬ কিলোমিটার। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এর মধ্যেই ২০০ কিমি রাস্তা তৈরীর কাজ শেষ করেছে রাজ্য সরকার। জোরকদমে কাজ চলছে আরও প্রায় ২০০০ কিমি নতুন রাস্তার কাজ। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলা থেকেই নতুন রাস্তা তৈরীর আবেদন জমা পড়েছে পূর্ত দপ্তরে।

তাঁর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকে ২০০ কিমির বেশি নতুন রাস্তার আবেদন জমা পড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পুরুলিয়া। অতিবৃষ্টি ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কথা মাথায় রেখে কংক্রিট ও পীচ, দুই ধরনের রাস্তাই তৈরী করছে রাজ্য সরকার।

তিন মিটার প্রস্থের ১কিমি রাস্তা নির্মাণে রাজ্য সরকারের খরচ পড়ছে প্রায় ১কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। একই দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের পীচের (বিটুমিন) রাস্তা নির্মাণ করতে খরচ পড়ছে প্রায় ৯০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকার মতো। জেলা পরিষদের নতুন এই রাস্তাগুলি নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে পরিকল্পনা খাতের বরাদ্দ অর্থ থেকে ২৭০০ কোটি টাকা অনুমোদন দিয়েছে। মূলত গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার মান বাড়াতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেলা পরিষদের নতুন রাস্তাগুলি চওড়া হবে ৩ মিটারের মতো। সেগুলিকে ৫মিটার মতো চওড়া করা হবে বলে পূর্ত দপ্তরের খবর।

চলতি অর্থবর্ষেও গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণে কেন্দ্রীয় প্রশংসা অর্জন করেছে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার তৈরী রাস্তাগুলি এতদিন রক্ষণাবেক্ষণ করত জেলা পরিষদগুলি। তবে সঠিক পরিকাঠামো ও তহবিল না থাকায় সেই রাস্তাগুলির রক্ষণাবেক্ষণ না হয়ে রাস্তাগুলি খারাপ হয়ে পড়ত। টাই, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পরিষদের রাস্তাগুলি পূর্ত দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়ার।