সাম্প্রতিক খবর

মে ২৩, ২০১৮

রাতের পরিবহণে তিনগুণ আয় বৃদ্ধি উৎসাহ জোগাচ্ছে নিগমকর্তাদের

রাতের পরিবহণে তিনগুণ আয় বৃদ্ধি উৎসাহ জোগাচ্ছে নিগমকর্তাদের

মার্চ মাসের প্রথমার্ধ থেকে বাস-ট্রামের রাত্রিকালীন পরিষেবা শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম। এই পরিষেবার শুরুতে মূলত রাতে যাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় রাখা হলেও, দিনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিগমের আয়। শুরুতে বাস-ট্রামগুলি থেকে যা আয় হত, বর্তমানে তা প্রায় তিনগুণ বেড়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে রাতের পরিবহণ পরিষেবা নিয়ে উৎসাহিত নিগমকর্তারাও।

পঞ্চায়েত ভোট মিটলেই রুটগুলি নিয়ে ‘রিভিউ মিটিং’ ডাকা হবে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, রুটগুলির বাস-ট্রাম শহরের কোন কোন স্টপেজে দাঁড়াবে, তাও এবার ঠিক করে দেওয়া হবে। পুলিসের সঙ্গে আলোচনায় ‘নাইট স্টপেজ’ ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্টপেজগুলিতে ‘রিফ্লেক্টর বোর্ড’ বসানো হবে। হাসপাতাল, স্টেশন, নার্সিংহোম সহ সংশ্লিষ্ট জায়গায় রাতের পরিবহণ নিয়ে প্রচার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাতে রুটগুলি আগামী দিনে আরও জনপ্রিয় হবে।

হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন বাস টার্মিনাস থেকে রাতের পরিবহণ পরিষেবার সূচনা করেছিলেন পরিবহণমন্ত্রী। ওই দিনই মোট ১৩টি রুটে ২৫টি বাসের যাত্রার সূচনা হয়। একইসঙ্গে রাত্রিকালীন ট্রাম পরিষেবারও সূচনা করেছিলেন মন্ত্রী। সেই মতোই রাতে বেলগাছিয়া-শ্যামবাজার-কলেজ স্ট্রিট-এসপ্ল্যানেড রুটে দু’টি ট্রাম চলাচল করছে।

বাসরুটগুলির মধ্যে হাওড়া স্টেশন থেকে বিমানবন্দর, বারাকপুর, বারাসত, কামালগাজি, গড়িয়া, জোকা, বালিগঞ্জ, করুণাময়ী রুটে বাস চালানো হচ্ছে। এছাড়াও, ডানলপ-বালিগঞ্জ, শ্যামবাজার-বারাসত, নিউ টাউন-হাওড়া রুটে নিগমের রাতের বাস চলাচল করছে। তাতে রাত প্রতি নিগমের আয় হচ্ছে কমবেশি ৩৮ হাজার টাকা।

বাস-ট্রামে গোটা সপ্তাহের ভিড় পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, সবচেয়ে বেশি ভিড় হচ্ছে শুক্র ও শনিবার। নিগমের এক কর্তা বলেন, রাতে কোনও রুটে তিনটি বা কোনও রুটে দু’টি করে ট্রিপ হচ্ছে। যেখানে তিনটি করে ট্রিপ হচ্ছে, সেখানে প্রথম এবং শেষ ট্রিপে ভিড় সবচেয়ে বেশি থাকছে। রুটের বিচারে বেশি ভিড় হচ্ছে হাওড়া স্টেশন থেকে বিমানবন্দর, বারাসত এবং গড়িয়া রুটের বাসে।

কেবল আয়ের কথা বিবেচনা করে সরকারি বাস চালানো হয় না। যাত্রীদের পরিষেবা দেওয়াই মুখ্য বিষয়। সেই মতোই রাত্রিকালীন পরিষেবার সূচনা করা হয়েছে। বহু যাত্রী সেই পরিষেবা নিচ্ছেনও। তাঁদের নিরাপত্তায় সর্বদা সতর্ক থাকছেন কন্ট্রোল রুমের কর্মীরা। রুটগুলি পথদিশা অ্যাপেও দেখা যাচ্ছে। আগামী দিনে এই পরিষেবা পর্যালোচনা করা হবে। প্রয়োজন মতো ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।