মার্চ ৪, ২০১৯
হাতানিয়া–দোয়ানিয়ায় নতুন ব্রিজ, দীর্ঘদিনের দাবিপূরণ

সপ্তাহ শেষে বেড়ানোর অন্যতম গন্তব্য বকখালি। আর বকখালি গেলে পাশে পাওয়া যাবে ফ্রেজারগঞ্জ, হেনরি আইল্যান্ড ও জম্বুদ্বীপ। কিন্তু বকখালি যাওয়ার অন্যতম দুর্ভোগ হাতানিয়া–দোয়ানিয়া নদী। সাধারণ যাত্রীদের ভরসা ভুটভুটি। আর যানবাহন পার হয় বার্জে। ২টি বার্জ চললেও গাড়ির লাইন লেগে যায়। বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হত ভ্রমণার্থীদের। এজন্য ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই রাজ্যের অন্যতম সমুদ্র সৈকত এড়িয়ে চলেন। নামখানা ব্লকের উৎপাদিত সব্জী ও মাছ বাজারজাত করার জন্য সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। এবার অর্থনীতির গতিই বদলে যাবে মনে করেন স্থানীয়রা।
দ্বিতীয় হুগলী সেতুর আদলে গড়ে উঠেছে এই সেতু। দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৩ কিমি। সেতুটি এই মুহূর্তে সুন্দরবনের সবচেয়ে দীর্ঘ সেতু বলে দাবি করা হয়েছে সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তরের পক্ষ থেকে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সাগর–বকখালি উন্নয়ন পর্ষদ গড়ে তোলা হয়। এই পর্ষদের চেয়ারম্যান সাগরের বিধায়ক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েকবার সাগর ও বকখালিতে এসেছেন। পর্যটনের উন্নয়নের জন্য নানান পরিকল্পনা নিয়েছেন। ইতিমধ্যে বকখালিকে সাজানোর কাজ শুরু হয়েছে।
পাশেই ফ্রেজারগঞ্জ, হেনরি আইল্যান্ড সেজে উঠেছে। জম্বুদ্বীপে পরিবেশ বান্ধব পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে সার্কিট ট্যুরিজম গড়ে তোলা হবে এই পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে নিয়ে।
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বলেন, ‘পর্যটনের বিকাশে এই সেতু সহায়ক হবে। নামখানা ব্লকের মানুষেরও দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হবে। রোগীদেরও আর অপেক্ষা করতে হবে না ফেরির জন্য।’
সৌজন্যেঃ আজকাল